ফের নিজের জীবন খুবই ঝুঁকিপূর্ণ বলে উল্লেখ করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রবিবার ঢাকা সেনানিবাসে ‘প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্ট’ (পিজিআর)-এর ৪৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই তিনি তাঁর সংশয়ের কথা জানান।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভোরে খান সেনার হাতে হাসিনার বাবা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মা-তিন ভাই-সহ পরিবারের ১৮ জন নিহত হন। সে সময় শেখ হাসিনা ও তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানা-সহ দেশের বাইরে থাকায় প্রাণে রক্ষা পান। তার পর ছয় বছর দিল্লিতে থাকার পর ১৯৮১ সালে দেশে ফেরেন তিনি। হাল ধরেন বাবার হাতে গড়া দল আওয়ামি লিগের। তাঁর প্রাণনাশের চেষ্টা করা হয় ২১ বার। প্রতিবারই তিনি জখম হলেও প্রাণে বেঁচে যান। এদিনের অনুষ্ঠানে হাসিনা বলেন, “শুধু আমার জীবনটাই ঝুঁকিপূর্ণ নয়। যাঁরা আমাকে নিরাপত্তা দেন, তাঁরাও যথেষ্ট ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে থাকেন।”
দেশের উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরে মুজিবকন্যা হাসিনা বলেন, “দেশের সম্পদ বিক্রি করে কখনও ক্ষমতায় আসার চিন্তা করিনি। বড় দেশ আমেরিকা। তাদের কোম্পানি এখান থেকে গ্যাস তুলে বিক্রি করবে ভারতের কাছে, আমি রাজি হইনি। এ জন্য ক্ষমতায় আসতে পারিনি। দেশের সম্পদ বিক্রি করে ক্ষমতায় বসতে হবে— এই দুর্বলতা কখনও আমার মধ্যে ছিল না। খবরদারি করা বড় দেশগুলোও এখন বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি অস্বীকার করতে পারে না। এই উন্নতির যাত্রা অব্যাহত রাখতে হবে। আমেরিকার চেয়ে এক শতাংশ হলেও দারিদ্র্যের হার কমাতে হবে দেশে।”
সেনানিবাসের অতীত চিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “জিয়াউর রহমানের সময় সেনানিবাসের আকাশ-বাতাস ভারি হত বিধবাদের কান্নায়। আমি যখন আমার ছেলে-মেয়ের জন্য প্রার্থনা করি তখন আমার সঙ্গে যাঁরা কাজ করেন তাদের জন্যও প্রার্থনা করি। পিজিআরের নেতৃত্ব ও নিরাপত্তা অত্যন্ত প্রশংসার দাবি রাখে। পিজিআরে এখন এপিসিসহ আধুনিক সরঞ্জাম যোগ করা হয়েছে। রেজিমেন্টের সদস্য সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে। কারও রক্তচক্ষুকে ভয় করে না বাংলাদেশ। এই দেশকে আর কেউ পেছনে টানতে পারবে না। অপ্রতিরোধ্য অগ্রগতির পানে এগিয়ে যেতে হবে।” বলে রাখা ভালো, রবিবারই তিনি চিনের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। চার দিনের সফরে সেদেশে যাচ্ছেন তিনি।#সূত্রঃ সংবাদ প্রতিদিন
পূর্ববর্তী সংবাদ
Global military expenditures are growing at an alarming rate!
পরবর্তী র্সবাদ
রাশিয়ার একটি সুখোই সুপারজেট ১০০ যাত্রী পরিবহণ বিমান বিধ্বস্ত