জাপান তার সেল্ফ ডিফেন্স ফোর্সের বিমান বাহিনীতে অপারেশনাল থাকা ৭০টি এফ-১৫জে জেট ফাইটার (ঈগল সুপার ইন্টারসেপ্টর ফ্লীট) মিড লাইফ আপগ্রেড এণ্ড মর্ডানাইজেশন প্রোগ্রাম শুরু করেছে। যার আওতায় ৭০টি এফ-১৫ জেট ফাইটার আপগ্রেডেশনের জন্য মার্কিন বোয়িং কর্পোরেশনকে ৪৭১ মিলিয়ন ডলারের বিশেষ কন্ট্রাক দিয়েছে জাপানের নতুন সরকার। তবে পর্যায়ক্রমে জাপান তার এয়ার ফ্লীটে থাকা সকল এফ-১৫ জেট ফাইটার আপগ্রেডিং সম্পন্ন করবে।
সংখ্যার বিচারে জাপানের সেলফ ডিফেন্স ফোর্সের বিমান বাহিনীর আকার চীনের চার ভাগের এক ভাগ মনে হলেও গুণগত মান ও প্রযুক্তিগত সক্ষমতায় বিশ্বের যে কোন দেশের এয়ার ফোর্সকে সাবলীলভাবে রুখে দিতে সক্ষম। তাছাড়া বিশ্বের সেরা ১০টি ডেডিকেটেড বিমান বাহিনীর একটি হচ্ছে জাপানের সেলফ ডিফেন্স ফোর্সের বিমান বাহিনী।
বর্তমানে জাপানের বিমান বাহিনীতে আনুমানিক ৮ শতাধিকের কাছাকাছি যুদ্ধবিমান, হেলিকপ্টার, সামরিক পরিবহণ বিমান এবং প্রশিক্ষণ বিমান রয়েছে। তবে এয়ার স্টাইক এন্ড কমব্যাট মিশনের উপযোগী জেট ফাইটারের প্রযুক্তিগত সক্ষমতা এবং কোয়ালিটি দেখলে যে কেউ চমকে যেতে পারে।
বর্তমানে জাপানের বিমান বাহিনীর এয়ার কমব্যাট ফ্লীটে ১৫৫টি এফ-১৫ জেট ফাইটার রয়েছে। জাপানের নিজস্ব প্রযুক্তির তৈরি এফ-২ রয়েছে ৬২টি। তাছাড়া স্টিলথ প্রযুক্তির এফ-৩৫ লাইটনিং-২ এভভান্স জেট ফাইটার রিয়েছে ২৩টি এবং আরো নতুন করে ১২৩টি এফ-৩৫ স্টিলথ জেট ফাইটার অর্ডার করে রেখেছে জাপান। যা জাপানের দুটি মিনি এয়ার ক্রাফট ক্যারিয়ারে অপারেট করা হবে।
অন্যদিকে বিভিন্ন ধরনের উচ্চ প্রযুক্তির আর্লি ওয়ার্নিং (এডাব্লিউএসিএস) বিমান রয়েছে ২১টি এবং রিকর্নিসেন্স বিমান রয়েছে ১টি। তাছাড়া ইলেক্ট্রনিক্স ওয়ারফার বিমান ৫টি, এয়ার রিফুয়েলিং ট্যাংকার রয়েছে মোট ৭টি।
তবে মধ্যম ও দীর্ঘ পাল্লার সামরিক পরিবহণ বিমান রয়েছে ৭৩টি এবং হেভি লিফটিং হেলিকপ্টার রয়েছে ৭১টি। তাছাড়া বিভিন্ন ক্যাটাগরির বেসিক, ইন্টারমিডিয়েট এণ্ড এডভান্স লেভেলের ট্রেনিং বিমান রয়েছে মোট ৩৩২টি। যার মধ্যে বেশির ভাগই আপদকালীন যে কোন মুহুর্তে কমব্যাট এয়ার মিশনে মোতায়েন করা সম্ভব। আবার প্রশিক্ষণ বিমানের মধ্যে হাইলি মডিফাইড ৪৫টি এফ-১৫ডিজে ইগল যুদ্ধবিমান রয়েছে।
অদূর ভবিষ্যতে সাগরের মালিকানা নিয়ে চীন ও জাপান যুদ্ধে জড়িয়ে পড়লে চীনের বিমান বাহিনীতে থাকা শত শত জে-১০ এবং জে-১১ সিরিজের যুদ্ধবিমান দিয়ে জাপানের সেলফ ডিফেন্স ফোর্সের বিমান বাহিনীকে মোকাবেলা করাটা এক কথায় অসম্ভব বলা চলে। আবার জাপানের বিমান বাহিনীর প্রযুক্তিগত সক্ষমতায় তা কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যের মিনি সুপার পাওয়ার খ্যাত ছোট্ট দেশ ইসরাইলের বিমান বাহিনীর মতো মনে করা হয়। এরিয়াল ফ্লীটের আকার যতই ছোট হোক না কেন, যা আছে তার শতভাগই আধুনিক এবং গুণগত মান সম্পন্ন বলা চলে।#
পরবর্তী র্সবাদ