কাজী আবুল মনসুর ##
অবশেষে হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়াকেও প্রাণ দিতে হলো। ইসরাইল ও ফিলিস্তিনিদের মাঝে চলমান যুদ্ধে ইসরাইলের গুপ্তঘাতকের হাতে প্রাণ গেলো ইসমাইল হানিয়ার। ইসরাইল বহুদিন ধরে চেষ্টা করে আসছে তাকে হত্যার। শেষপর্যন্ত ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে গুপ্তঘাতকের গুলি কেড়ে নেয় তারঁ জীবন। গত ৩১ জুলাই তেহরানে যে ভবনে ইসমাইল হানিয়া উঠেছিলেন সে ভবনে একজন দেহরক্ষীসহ ইসমাইল হানিয়া নিহত হন। মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত তিনি কাতারেই বাস করছিলেন। চলমান ইসরাইল ফিলিস্তিন যুদ্ধে ইসমাইল হানিয়ার তিন সন্তানও গত এপ্রিলে প্রাণ হারান। এ সময় তারঁ সন্তানদের সাথে পরিবারের অনেকের মারা যান। ইসরাইল পরিকল্পিতভাবে ইসমাইল হানিয়া ও তারঁ পরিবারদের কবর রচনা করেন।
হানিয়ার এ দুঃখজনক পরিনতির কারণে ফিলিস্তিনের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন নিয়ে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। কারণ হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ছিলেন ইসমাইল হানিয়া। অত্যন্ত মেধাবী এ হামাস নেতা ‘হামাস’কে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে গেছেন। তারঁ মতোন আর নেতৃত্ব আসবে কিনা বা হামাসের ভবিষ্যত কি হবে এ নিয়ে চলছে বিশ্লেষন। হামাস এরই মধ্যে এ হত্যাকান্ডের প্রতিশোধ নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
ইসরাইল হামাসের পেছনে সর্বশক্তি নিয়োগ করেে রেখেছে। কোন অবস্থাতে হামাসকে ছাড় দিচ্ছেনা। ইসমাইল হানিয়ার আগে ইসরাইলের গুপ্ত হামলার শিকার হয়েছেন হামাসের আরও ৫ নেতা। ১৯৯৬ সালের ৫ জানুয়ারি হামাস নেতা ইয়াহিয়া আকাশকে হত্যা করা হয়। হামাস প্রতিষ্ঠার পেছনে ইয়াহিয়া আকাশ ছিলেন অন্যতম একজন নেতা। গাজার বেত লাহিয়ায় শিনবেত এলাকায় তিনি প্রাণ হারান। তারঁ মৃত্যুর পর হামাসের অন্যতম কান্ডারি হিসেবে দায়িত্ব তুলে নেন খালেদ মেশাল। ১৯৯৭ সালে খালেদকে বিষ প্রয়োগে জর্দানে হত্যা করে ইসরাইল। জর্ডানে রাস্তায় ইসরাইলের এজেন্টরা তাকে ধরে ইনজেকশনের মাধ্যমে তারঁ উপর বিষ প্রয়োগ করলে প্রাণ হারাণ খালেদ। হামাস প্রতিষ্ঠার পর থেকে ইসরাইল শেখ আহমেদ ইয়াসিনকে হত্যার চেষ্টা চালিয়ে আসছিল। শেষপর্যন্ত ২০০৪ সালের ২২ মার্চ গাজায় হত্যা করা হয় ইয়াসিনকে তিনি ছিলেন হামাসের প্রতিষ্ঠাতা। অত্যন্ত মেধাবী ইয়াসিন নিজে পঙ্গু হলেও ছিলেন হামাসের প্রাণ। যুব বয়স থেকেই তিনি ছিলেন গাজার নেতা। ১৯৭৮ সালে ৪৯ বছর বয়সী শেখ আহমেদ ইয়াসিন ফিলিস্তিনিদের সাহায্যের জন্য আল মুজাম্মা আল ইসলামি নামে একটি ইসলামি সংগঠন গড়ে তুলতে অধিকৃত ইসরায়েলী কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেন। ইসরায়েল তা মঞ্জুর করে। লক্ষ্য ছিল গাজায় ফিলিস্তিনি মুক্তি সংস্থা পিএলও এর একক প্রতিনিধিত্বের গুরুত্ব হ্রাস করা। কিন্তু সেই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যায়। ইয়াসিনের ডান হাত বলে পরিচিত হামাসের সহ-প্রতিষ্ঠাতা আবদেল আল আজিজও অনেকটা একই সময়ে প্রাণ হারাণ। ইসরাইলি হেলিকপ্টার থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে তিনি আহত হওয়ার পর আর সুস্থ হতে পারেন নি। ২০০৪ সালের ২১ অক্টোবর ইসরাইলি বিমান হামলায় হামাসের অন্যতম নেতা আদনান আল-ঘৌল বোমারু বিমান হামলায় নিহত হন। তিনি ছিলেন হামাসের সামরিক শাখার অন্যতম কান্ডারি। নিজার রায়ান ছিলেন হামাসের অন্যতম প্রভাবশালী কট্টর রাজনৈতিক নেতা। ফিলিস্তিনরা যাকে ধর্মগুরু হিসেবে চিনতেন। ইসরাইলের আতঙ্ক নিজার রায়ান বাহিনীর সদস্যদের আত্মঘাতি বোমায় পারদর্শি হতে বলেছিলেন। এরপরই ২০০৯ সালের ১ জানুয়ারি জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে বোমা হামলায় তার চার স্ত্রীর মধ্যে দুজন এবং তার সাত সন্তান নিহত হন। সালেহ আল আরৌরি ছিলেন হামাসের উপপ্রধান। অত্যন্ত মেধাবী বলে পরিচিত সালেহ হামাসের কাসাম ব্রিগেড এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। দুর্ভাগ্যজনকভাবে লেবাননের বৈরুতে হিজবুল্লাহর শক্ত ঘাটিতেই ড্রোন হামলায় প্রাণ হারাণ। সর্বশেষ ইসরাইলের টার্গেটে পরিনত হলো ইসমাইল হানিয়া।
মূলত ২০২১ সাল থেকেই মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম প্রভাবশালী ও মিনি সামরিক পরাশক্তি ইসরায়েলের সাথে ফিলিস্তিনের হামাস ব্যাপকভাবে এক অসম ভয়াবহ যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। উভয় পক্ষের ব্যাপক প্রাণহানি এবং ক্ষতিগ্রস্ত হলেও বাস্তবে গাজায় ফিলিস্তিনের সাধারণ মানুষেরা ব্যাপক বিপর্যয়ের মুখে পড়ে যায়। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের হস্তক্ষেপে অস্ত্রবিরতির মধ্য দিয়ে গাজা উপত্যকায় ইসরাইল ও হামাসের ভয়ংকর যুদ্ধের মাঝে মাঝে অবসান হলেও ২০২৪ সালে ইসরাইল হামাসকে চিরতরে ধংসের প্রক্রিয়ায় নামে। এ অবস্থার সূচনা হয়েছিল মূলত ২০২১ সালে। ১১দিন ধরে উভয় পক্ষের ব্যাপক যুদ্ধ চলে। অসম এই ১১ দিনের যুদ্ধে ইসরাইল ও হামাস একে অপরের বিরুদ্ধে তাদের সর্বোচ্চ সামরিক সক্ষমতা প্রয়োগ করেছিল। একদিকে ইসরাইল খুবই দক্ষতার সাথে তার বিমান বাহিনী এবং আধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার গাজার বড় বড় ভবন, টানেল ধ্বংস করে দেয়। অন্যদিকে ইসরাইলের বিমান হামলার জবাবে হামাস গাজা থেকে প্রায় ৪,৩৬০টি স্বল্প ও মধ্যম পাল্লার রকেট নিক্ষেপ করে। এ সময় থেকে ধারনা করা হয়, ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য ৫০০০০ হাজারের বেশি রকেট আর্টিলারি ও মাল্টিপল রকেট এবং মিসাইল মজুদ করে রেখেছে হামাস। ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা ও মিডিয়া এই ব্যাপারে ইসরাইলের ডিফেন্স ফোর্স’কে সতর্ক করেছিল। এই স্বল্প দিনের যুদ্ধে হামাস নজিরবিহীনভাবে চার হাজারের অধিক স্বল্প সক্ষমতার ও পাল্লার রকেট ইসরাইলের বিভিন্ন শহরে নিক্ষেপ করে। যদিও ইসরাইলের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ৮৫ শতাংশ পর্যন্ত রকেট আকাশেই ধ্বংস করে দিতে সক্ষম হয়। ফিলিস্তিনের সামরিক গ্রুপ হামাসের অস্ত্র ভান্ডারে বর্তমানে বিভিন্ন সিরিজের স্বল্প ও মধ্যম পাল্লার রকেট মজুত রয়েছে। যা দিয়ে তারা কার্যত ইসরাইলের সামরিক আগ্রাসন প্রতিরোধ করে থাকে।
সূত্র মতে, ২০২১ সালে পরিচালিত একটি জরিপে দেখা গেছে যে ৫৩ শতাংশ ফিলিস্তিনি বিশ্বাস করেন যে হামাস “ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতিনিধিত্ব এবং নেতৃত্ব দেয়ার জন্য সবচেয়ে যোগ্য”। মাত্র ১৪ শতাংশ মাহমুদ আব্বাসের ফাতাহ পার্টিকে পছন্দ করেন। তবে নানা কারনে ২০২৩ সালের দিকে হামাসের জনপ্রিয়তা কমে আসে। এ সময় পরিচালিত জরিপে দেখা গেছে যে ফিলিস্তিনিদের মধ্যে হামাসের প্রতি সমর্থন ছিল প্রায় ২৭-৩১ শতাংশ।
১৯৮৭ সালে হামাস কে তৈরি করেন ইয়াহিয়া আকাশ । যিনি একাধারে অত্যান্ড মেধাবী , পদার্থবিদ ও আইডি বা উচ্চমাত্রার বিস্ফোরক তৈরির বিশেষজ্ঞ ছিলেন । তিনিই সর্বপ্রথম হামাসের সুইসাইড বোমা ও লোকবল তৈরি করেন যাতে ইসরাইল কে উপযুক্ত শিক্ষা দিতে পারে । তবে শুরুতে হামাস কোন সশস্ত্র সংগঠন ছিল না । ১৯৯৩ সালে হামাস নিজেদের সংগঠন থেকে তৈরি করে ‘ইজ আদ দিন আল কাসাম’। যারা সমরাস্ত্র বিষয়ে বেশি জানেন তাদের কাছে এরা কাসাম ব্রিগেড নামে বেশি পরিচিত। ইজ আদ দিন আল কাসাম হচ্ছে এই হামাসের সশস্ত্র শাখা । যাদের কে ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য প্রশিক্ষিত করে তোলা হয় । কাসাম ব্রিগেডে ৫০০০০ হাজারের বেশি যোদ্ধা রয়েছে । তবে নিয়মিত যোদ্ধা রয়েছে ৩০০০০ হাজার । তবে ধারনা করা হয় এই সংখ্যা বর্তমানে আরো অনেক বেশি এবং এদের পরিচয় কি , কোন পরিবার, কে এদের বাবা মা অথবা ভাই বোন তা অত্যান্ত কাছের মানুষরাও জানে না । এদের পরিচয় মৃত্যুর আগ পর্যন্ত প্রকাশ করা হয়নি। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, এই কাসাম ব্রিগেডে ৩টি স্পেশাল অপারেশন বিভাগ দেখা যায় । এগুলো হচ্ছে ,স্পেশাল অপারেশন কমান্ডো ব্যাটালিয়ন, সুইসাইড বোম্বার বা আত্মঘাতী হামলায় দক্ষ একটি গ্রুপ , স্নাইপার স্কোয়াড ব্রিগেড । যারা স্নাইপিং এ বিশেষভাবে দক্ষ ।
হামাস যেসব ধরনের অস্ত্রশস্ত্র ব্যবহার করে থাকে, একে-৪৭ অ্যাসল্ট রাইফেল, একে-৭৪ অ্যাসল্ট রাইফেল, এম ৪ এ ওয়ান কারবাইন রাইফেল, পিকেএম জেনারেল পারপোজ মেশিনগান, এমজি-৩ জেনারেল পারপোজ মেশিনগান, ডিএসএইচকে হেভি মেশিনগান ছাড়াও আরো বেশকিছু মেশিনগান ও অ্যাসল্ট রাইফেল ব্যবহার করে থাকে । স্নানাইপার রাইফেল এর মধ্যে , ড্রাগোনভ এসভিডি স্নাইপার রাইফেল, পিজিএস-১ স্নাইপার রাইফেল, এইচ এস -৫০ অ্যান্টি মেটারিয়াল লং রেঞ্জ স্নাইপার রাইফেল বেশি ব্যবহার করে থাকে ।
এগুলো ছাড়াও আরো বেশ কিছু স্নাইপার রাইফেল ব্যবহার করে থাকে যেগুলার নাম জানা যায় না । অ্যান্টি ট্যাংক মিসাইল বালচা ই ২,কনকুরুচ-এম ৯কে, মালইয়ুথকা মিলান.আরপিজি-৭ ও নিজেদের তৈরি ‘ইয়াসিন’ অ্যান্টি ট্যাংক ওয়েপন ব্যবহার করে থাকে এছাড়া অত্যাধুনিক করনেট – ই ব্যবহার করে থাকে । ধারনা করা হয় হামাসের কাছে ৮০০০ হাজারের মত অ্যান্টি ট্যাংক মিসাইল মজুদ আছে। আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, এস এ -৭বি ম্যানপ্যাড. এস এ-১৮ ম্যানপ্যাড, এস এ ২৪ ম্যানপ্যাড ছাড়াও বেশ কিছু মোবাইল বেশ অ্যান্টি এয়াক্রাফট মিসাইল ব্যবহার করে । হামাস এম ৩০২ নামে দূরপাল্লার রকেট ব্যবহার করে যেটা আর-১৬০ নামে পরিচিত । মূলত এম-৩০২ ইসরাইলের জন্য ব্যাপক ভয়ের কারন । এম-৩০২ মোবাইল বেস রকেটগুলো ১৬০ কিলোমিটার দূরে নিখুতভাবে আঘাত হানতে পারে ।
তবে ধারনা করা হচ্ছে, হামাসের অস্ত্র ভান্ডারে কাসাম সিরিজের অজানা সংখ্যক শর্ট রেঞ্জের রকেট রয়েছে। কাসাম রকেটের রেঞ্জ মাত্র ১০কিলোমিটার। ১৬ কিলোমিটার পাল্লার কুদস-১০১ শর্ট রেঞ্জের রকেট ব্যবহার করে। হামাসের স্বল্প মধ্যম পাল্লার গ্রাড রকেটের রেঞ্জ ৫৫ কিলোমিটার। ডাব্লুএস-ওয়ানই এবং সেজিল নামের মিডিয়াম রেঞ্জের রিকেট দুটি ৫৫ কিলোমিটার দূরত্বে আঘাত হানতে সক্ষম। তাছাড়া হামাস এম-৭৫, ফজর এবং জে-৮০ নামের তিনটি মিডিয়াম রেঞ্জের রকেট ব্যবহার করে থাকে। যেগুলোর রেঞ্জ ১০০ কিলোমিটার। দীর্ঘ পাল্লার প্রজেক্টাইল হিসেবে হামাস দুটি সিরিজের অত্যাধুনিক রকেট ব্যবহার করে থাকে। যার মধ্যে আর-১৬০ রকেটের রেঞ্জ ১২০ কিলোমিটার এবং এম-৩০২ লং রেঞ্জের রকেটের রেঞ্জ প্রায় ২০০কিলোমিটার।
সামরিক দিক দিয়ে হামাস শক্তিশালী হতে শুরু করলে নড়েচড়ে বসে ইসরাইলের মোসাদ। যে কোন মূল্যে হামাসকে নির্মূল করতে ইসরাইল রাষ্ট্রিয়ভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। ফলে শুরু হয় ইসরাইল ও ফিলিস্তিন যুদ্ধ। দীর্ঘ বছরের পর বছর ধরে মাঝে মাঝে যুদ্ধ হলেও এবার ইসরাইল কোনভাবে ছাড় দিচ্ছে না ফিলিস্তিনিদের। হামাস নির্মূল করার নামে এরই মধ্যে কয়েকমাসে ৪০ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছে। আন্তর্জাতিকভাবে নানা নিষেধাজ্ঞাও আমলে নিচ্ছে না ইসরাইল। সংঘাত বন্ধে জাতিসংঘসহ নানা দেশ ইসরাইলের উপর চাপ সৃষ্টি করলেও ইসরাইলের থামার কোন লক্ষণ নেই। গাজার পুরোপুরিভাবে ইসরাইলের হাতে নেয়ায় এখন তাদের উদ্দেশ্য। এ যুদ্ধের মাঝে হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়াকেও হত্যা করা হয়েছে।
হামাস প্রধানের মৃত্যুর পর হামাস কি এ মৃত্যুর প্রতিশোধ নেবে, নাকি আলোচনার টেবিলে বসবে এ নিয়ে আলোচনার অন্ত নেই। সারা বিশে^র মানুষ চাইছে এ যুদ্ধ বন্ধ হোক। প্রতিদিন নারী,পুরুষ, শিশুর লাশে বাতাস ভারী হচ্ছে। ফিলিস্তিন পরিনত হয়েছে ধংসস্তুপে। এ অবস্থায় হামাস কোন পথে যাবে এটাই এখন দেখার বিষয়।##
পূর্ববর্তী সংবাদ
পরবর্তী র্সবাদ