--- বিজ্ঞাপন ---

চীনের যৌনবাজারে ভোগ্যপণ্য নেপাল ও পাকিস্তানের মেয়েরা

0

চীনের যৌনবাজারে ভোগ্যপণ্য হিসেবে বেড়েই চলেছে নেপাল ও পাকিস্তানের মেয়েরা। প্রায় প্রতিনিয়ত অভিনব কৌশলে চীনের যৌনবাজারে পাচার হচ্ছে নেপাল ও পাকিস্তানের মেয়েদের। সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, নেপালের গরিব ঘরের নারীদের চাকরির প্রতিশ্রুতি বা বিয়ে করে চীনে যৌনদাসী হিসেবে বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে। লোভনীয় চাকরি, দুর্দান্ত সুবিধা এবং একটি লাল পাসপোর্ট করিয়ে দেওয়ার সুবিধার কথা বলে নারী পাচার করা হচ্ছে চীনে। লাল পাসপোর্ট করতে পারলে চাইনিজকেও বিয়ে করেত পারবে বলে জানানো হচ্ছে। এর ফলে সামান্য আয়ের কৃষক বা শ্রমিকরা তাদের মেয়েদের চীনে পাঠিয়ে দিচ্ছেন বা দালাল চক্রের হাতে তুলে দিচ্ছেন। পরে ওই দালালরা চীনে নিয়ে গিয়ে যৌনদাসী হিসেবে যৌন পল্লীগুলোতে বিক্রি করে দিচ্ছে। ৩১ আগস্ট নেপাল পুলিশ নারী পাচারের সঙ্গে জাড়িত থাকার সন্দেহে ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ১০ জনকে গ্রেপ্তার করে। তারা সবাই নেপলি নারীদের চীনের নাগরিকদের সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার নাম করে বিক্রি করে দেওয়ার সঙ্গে জড়িত ছিলো। শুধু নেপালেই নয় পাকিস্তানেও হাজার হাজার নারী পাচারের শিকার হচ্ছেন প্রতিনিয়ত। গত মে মাসেই নারী পাচারের সঙ্গে জড়িত এমন সন্দেহে ১২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পাকিস্তান পুলিশ। নারী পাচার চক্রের সদস্যরা পাকিস্তানি তরুণীদের চীনে পাচার করত। গ্রেপ্তার হওয়া ওই ব্যক্তিদের মধ্যে আট জন চীনের ও চারজন পাকিস্তানের নাগরিক। পাকিস্তানের ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির কর্মকর্তা জামিল আহমেদ বলেন, ওই গ্যাংয়ের সদস্যরা স্বীকার করেছে যে তারা কমপক্ষে ৩৬ জন পাকিস্তানি মেয়েকে চ‌ীনে পাঠিয়েছ। চীনে তাদের পতিতাবৃত্তির জন্যই ব্যবহার করা হয়।

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.