--- বিজ্ঞাপন ---

ঝাড়খণ্ডে বিজেপি দূর্গের পতন

0

ঝাড়খণ্ডে বিজেপিকে সরিয়ে ক্ষমতায় আসতে চলেছে কংগ্রেস, ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম) ও রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি)-এর জোট। ভোট গণনার শুরু থেকেই দু’পক্ষের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই শুরু হয়েছিল, কিন্তু বেলা যত গড়াতে থাকে ততই ভোটের ফলাফল জোট বিরোধী শিবিরের দিকেই ঝুঁকে পড়তে শুরু করে।

ঝাড়খণ্ডের একক গরিষ্ঠ দল হওয়ার পথে হেমন্ত সোরেনের জেএমএম। আর তাতেই স্পষ্ট হয়ে যায় ঝাড়খণ্ডে পালাবদলের ইঙ্গিত। ভোটে বিজেপি জিতেছে ২৭টি আসন, জেএমএম ও কংগ্রেস জোট জিতেছে ৪৪টি আসনে।৮১ সদস্যের বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা হল ৪১টি আসন। তিনটি এগজিট পোলে জেএমএম ও কংগ্রেস জোটের জয়ের কথাই বলা হয়ে ছিল।৩০ নভেম্বর থেকে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাঁচটি পর্যায়ে ভোটের পর ২৪টি জেলা সদর দফতরে কড়া প্রহরার মধ্যে গণনা শুরু হয়। ২০১৯ লোকসভায় বিজেপি ১৪টি আসনের মধ্যে ১১টিতেই জয়ী হয়েছিল।ফলাফল স্পষ্ট হতে শুরু করার সঙ্গে সঙ্গেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গাতেই জোট শিবিরের উল্লাসের ছবি দেখা গিয়েছে। কোথাও জেএমএম ও কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে মিষ্টিমুখ শুরু হয়ে যায়। আবার কোথাও বাজি পোড়াতে শুরু করেন কংগ্রেস ও জেএমএম সমর্থকরা।

ঝাড়খন্ড বিধানসভা নির্বাচনে পরাজয় স্বীকার করেছেন মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাস। বিকেল পর্যন্ত ভোট গণনার ট্রেন্ড ছিল ৪৮টি আসনে এগিয়ে জেএমএম-কংগ্রেস জোট। আর তাদের থেকে প্রায় ২৫টি আসন পিছিয়ে থেকে ২৭টিতে এগিয়ে বিজেপি। দৌড়ে অনেক পিছিয়ে ঝাড়খণ্ড রাজ্যে বিজেপির সম্ভাব্য শরিক আজসু ও জেভিএম। এই ট্রেন্ড কোনোভাবেই আর বিজেপির দিকে যাবে না। সেটা আন্দাজ করেই বিরোধী জোটের কাছে হার স্বীকার করেছেন রঘুবর দাস, দাবি কংগ্রেস-জেএমএম শিবিরের।

যদিও সরকার গড়ার পক্ষে সওয়াল করেছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অর্জুন মুন্ডা। ভোটার চূড়ান্ত ফল দেখে শরিক নির্বাচন করবে দল, জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু শেষ বেলার গণনায় সেই আশাও ক্ষীণ হয়ে যায়।

গত বছর রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তিশগড়ে ক্ষমতা হারিয়েছে বিজেপি। এবছর অক্টোবরে একপ্রস্থ শরিকি বিবাদের পর বিজেপির হাত ছেড়ে কংগ্রেস ও এনসিপির সঙ্গে জোট গড়ে সরকার চালাচ্ছে শিব সেনা।তারপর সংসদে পেশ হয়েছে নাগরিকত্ব আইন। তা নিয়ে উত্তাল গোটা দেশ, তার মধ্যে ঝাড়খণ্ডে বিরোধীদের এই ফল তাৎপর্যপূর্ণ। (সূত্রঃ প্রতিদিনের সংবাদ)

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.