--- বিজ্ঞাপন ---

পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রী মাওলানা সিদ্দিক উল্ল্যাহকে ভিসা দেয় নি বাংলাদেশ

0

পশ্চিমবঙ্গের জমিওতুল উলেমা হিন্দের সভাপতি মমতা বন্দোপাধ্যায়ের আস্থাভাজন বলে পরিচিত পশ্চিমবঙ্গের গ্রন্থাগার মন্ত্রী তথা বিজেপির নাগরিকত্ব আইন বিরোধী নেতা মাওলানা সিদ্দিক উল্ল্যাকে বাংলাদেশে প্রবেশের অনুমতি দেয় বাংলাদেশ। এতে দারুন নাখোশ মন্ত্রী। তিনি সিলেটের একটি মাদ্রাসার শতবর্ষ পূর্তি অনুষ্ঠানে আসার কথা ছিল। সাথে স্ত্রী, পুত্র-কন্যাদেরও নিয়ে আসার প্রোগ্রাম ছিল।

ভারতীয় পত্রিকার খবরে প্রকাশ,আরএসএস বিরোধী বাঙালি মুসলিম সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী শেখ হাসিনার বাংলাদেশ সরকারের ওপর বেজায় চটেছেন। তাকে সময় মত বাংলাদেশ যাওয়ার ভিসা না দেওয়ায়। কেন্দ্রের মোদি সরকার ও পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য প্রশাসনের অনুমতিপত্র থাকা সত্ত্বেও তাকে বাংলাদেশ ভিসা দেয়নি বাংলাদে;শ। জানা গেছে, বাংলাদেশের সিলেটের একটি মাদ্রাসার শতবর্ষের একটি অনুষ্ঠানে যাওয়ার আমন্ত্রণ পেয়েছেন হাতে রয়েছে তার। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের অনুমতিও নিয়েছিন। তবুও বাংলাদেশের  ভিসা পেলেন না এমনটাই অভিযোগ রাজ্যের জনশিক্ষা প্রসার ও গ্রন্থাগার মন্ত্রী জামায়াত উলামা হিন্দি রাজ্য সভাপতি সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর। প্রসঙ্গত সংসদে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাসের পরে যখন উত্তাল সারাদেশ, সে বিক্ষোভের মাঝেই ভারত সফর বাতিল করেন বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান । এমন সিদ্ধান্ত ছিল বাংলাদেশের।  ওয়াকিবহাল মহলের ধারনা এটার সাথে কোনযোগসূত্র আছে।

সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, তার বাংলাদেশে যাওয়ার কথা ছিল সেই মতই ১০ দিন আগে ভিসার জন্য আবেদন করেছিলেন। এমনকি টিকিট বুক করা হয়ে গিয়েছিল।  কিন্তু আচমকাই কোনো কারণ ছাড়াই ভিসা বাতিল করে দেওয়া হয়। সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী বলেন ভারতীয় মিডিয়াকে বলেন, একজন মন্ত্রী হিসেবে কেন্দ্র ও রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান মমতা বন্দোপাধ্যায়ের কাছ থেকে বিদেশ যাওয়ার অনুমতি পত্র নিয়েছিলাম, এমনকি নো অবজেকশন সার্টিফিকেটও নিয়েছিলাম। এখন জানতে পারলাম, বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনার হতে ভিসা বাতিল করা হয়েছে। তিনি বলেন, দু’দেশের মধ্যে যে সম্পর্ক রয়েছে সেখানে একটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক, আমি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে বিষয়টি তুলে ধরব।

তবে এ বিষয়ে কলকাতা বাংলাদেশ দেপুটি হাই কমিশনের পক্ষ থেকে কোন রকম মন্তব্য করা হয়নি। জানা গেছে সিলেটের মধ্যে একটি অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য স্ত্রী-কন্যাসহ নিজের জন্য আবেদন জানিয়েছেন সিদ্দিকুল্লা। একটি রাজনৈতিক সমাবেশে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত সাহাকে টার্গে ট করেসিদ্দিকুল্লা চৌধুরী বলেছিলেন, ‘নাগরিকত্ব সংশোধনী প্রত্যাহার না হলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কলকাতা বিমানবন্দরে আটকে দেয়া হবে। প্রয়োজনে আমরা তাকে বিমানবন্দর থেকে প্রবেশ করতে দিতে পারে তাহলে আমরা লক্ষ লক্ষ মানুষ জড়ো করে বিমানবন্দরে তাকে আটকে রাখতে পারে’।

এমন কট্টরপন্থী অবস্থান ও পশ্চিমবঙ্গ তথা বাংলাদেশের মুসলিম মৌলবাদী শক্তির সঙ্গে তার যোগাযোগ রয়েছে এমন অভিযোগ বিজেপি নেতাদের। বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধীদের সমর্থনে সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী সমাবেশ করেছে বলে জানা যায়। ### ২৬.১২.১৯

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.