--- বিজ্ঞাপন ---

কে হচ্ছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট, ট্রাম্প নাকি বাইডেন

যেভাবে হয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন

0

বিশেষ প্রতিনিধি##

ডোনাল্ড ট্রাম্প, নাকি জো বাইডেন। আবারও রিপাবলিকান, নাকি ডেমোক্র্যাটরা তাদের হারানো আসনে ফিরবে। কে হতে যাচ্ছেন আমেরিকার ৫৯তম রাষ্ট্রপতি। সারা বিশ্বে চলছে নানা জল্পনা কল্পনা। নির্বাচনের আর একদিন বাকি। ৩ নভেম্বর মঙ্গলবার নির্বাচন। প্রতি চার বছর অন্তর নির্বাচকমণ্ডলী পরোক্ষভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতির নির্বাচন করে। একই সাথে সহ-সভাপতি, হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভের আসন এবং ১০০ সিনেটের এক তৃতীয়াংশের আসন পুনঃ বিন্যাস করা হয়।

বরাবরের মতো দুটি দলই আমেকিাতে আলোচনায় থাকে। রিপাবলিকান ও ডেমোক্রেট। বর্তমান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প রিপাবলিকান দলের। তার আগে ছিলেন বারাক ওবামা। তিনি ছিলেন ডেমোক্রেট। ট্রাম্প ৪ বছর অতিবাহিত হবার পর আবারও দলের হয়ে অংশ নিচ্ছেন। একজন প্রেসিডেন্ট পর পর দু’বার অংশ নিতে পারেন। তাই রিপাবলিকানদের হয়ে আবারো লড়ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।  ডেমোক্র্যাটরা তাদের প্রার্থী পক্ষে প্রার্থী  দিয়েছেন সিনেটর জো বাইডেনকে। গত আগস্টে ডেমোক্র্যাটিক পার্টি কংগ্রেসে আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে মনোনীত করা হয়। রানিং মেট হিসেবে ক্যালিফোর্নিয়ার সিনেটর কমলা হ্যারিস বিডেনের ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসাবে নির্বাচীন করছেন।

কে এগিয়ে কে পিছিয়ে, সংখ্যাতত্ত্ব-পরিসংখ্যান নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। বিবিসির সমীক্ষা বলছে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন ৫২ শতাংশের মতো পপুলার ভোট বা সরাসরি জনগণের ভোটে এগিয়ে রিপাবলিকান ট্রাম্পের চেয়ে। অন্যান্য প্রায় সব সমীক্ষাতেও ইঙ্গিত তেমনই। কিন্তু সেটাই শেষ কথা নয়। আসল যুদ্ধ ইলেক্টরাল কলেজের ভোটে। তাতে যিনি ২৭০-এর ম্যাজিক ফিগার ছুঁতে পারবেন, শেষ মুহূর্তে বাজিমাত হবে তাঁরই। আমেরিকার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে একটা কথা খুব প্রচলিত— কত ব্যবধানে জিতছেন, সেটার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ কোথায় জিতছেন। ইলেক্টরাল কলেজের ভোট বেশি এমন রাজ্যগুলি হয়ে ওঠে ‘ব্যাটলগ্রাউন্ট স্টেট’। তাই পপুলার ভোট বেশি পাওয়ার অর্থই যে সেই প্রার্থী জিতে যাবেন, এমন ধরে নেওয়া যায় না। আমেরিকার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ইতিহাসে এমন নজির বহু রয়েছে। শেষ তম উদাহরণ হিলারি ক্লিন্টন। ২০১৬ সালের নির্বাচন। হিলারির চেয়ে প্রায় ৩০ লাখ কম ভোট পেয়েও শেষ পর্যন্ত ইলেক্টরাল কলেজের ভোটে বাজি জিতে নেন ট্রাম্প। এর কারণ লুকিয়ে রয়েছে আমেরিকার জটিল রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পদ্ধতির মধ্যে। কেমন সেই পদ্ধতি?

সাধারণ মানুষের পরোক্ষ ভোটে নির্বাচিত হন প্রেসিডেন্ট। প্রথমে জাতীয় নির্বাচনে সরাসরি ভোট দেন ভোটাররা। সেই প্রক্রিয়া প্রায় এক বছর ধরে চলে। ব্যালট পেপারের ক্ষেত্রেও এক একটি রাজ্যের জন্য় নিয়ম আলাদা। কিছু রাজ্য আছে, যেখানে শুধু রাষ্ট্রপতি এবং উপরাষ্ট্রপতির নামই থাকে। আবার রাজ্যের প্রতিনিধিদের নামও ব্যালটে থাকে অনেক রাজ্যে। জনগণের এই সরাসরি ভোটকে বলা হয় পপুলার ভোট।

পপুলার ভোটের পাশাপাশি রয়েছে ইলেক্টরাল কলেজের ভোট। শেষ কথা কিন্তু এই ইলেক্টরাল কলেজের ভোটই। আমেরিকার ৫০টি রাজ্য়ে এই ইলেক্টরাল কলেজ বা বোঝার সুবিধার্থে বলা যেতে পারে ‘আসন সংখ্যা’ ৫৩৮। সংখ্যাগরিষ্ঠতা বা অর্ধেকের বেশি আসন নিয়ে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য় দরকার ২৭০ আসন। জনসংখ্যার ভিত্তিতে রাজ্যগুলির ইলেক্টরাল কলেজের সংখ্যা নির্ধারিত হয়। সেই দিক থেকে সবচেয়ে বড় রাজ্য ক্যালিফোর্নিয়া, ইলেক্টরাল কলেজের সংখ্যা ৫৫। অন্যতম বড় রাজ্যগুলির মধ্যে রয়েছে টেক্সাস (৩৮), ফ্লোরিডা (২৯), ক্যালিফোর্নিয়া (২৯)। এই বড় রাজ্যগুলিতে এগিয়ে থাকলে জয় অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যায়। আবার আলাস্কা ও নর্থ ডাকোটা রাজ্যের হাতে রয়েছে তিনটি করে ইলেক্টোরাল ভোট। ভোটের নিয়ম অনুযায়ী কোনও রাজ্যে যে দল বেশি পপুলার ভোট পায়, সেই রাজ্যের পুরো ইলেক্টরাল কলেজের সব ভোট যায় সেই দলের দখলে।

ভোটাধিকারের একটি পরিণতি হ’ল; একজন প্রার্থী সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট না থাকলেও রাষ্ট্রপতি হতে পারেন। এই ক্ষেত্রে নিস্পত্তি করন মাপকাঠি হ’ল কার কাছে নির্বাচনী ভোট ও মহিলা নির্বাচনী ভোট সংখ্যাগরিষ্ঠ ভাবে হাতে রয়েছে। এই ধরণের অচলাবস্থায় – যখন উভয় প্রার্থীই ঠিক ২৬৯ টি নির্বাচনী পুরুষ ও মহিলা ভোট জিতেন – তখন সংবিধানের দ্বাদশ সংশোধনী কার্যকর হয়: নবনির্বাচিত হাউস অফ রিপ্রেজেনটেটিভ রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত করেন। প্রতিটি রাজ্যের জন্য তখন তখন কেবল একটি মাত্র ভোট থাকবে।

মার্কিন নাগরিকরা ২০২০ সালে নভেম্বর এর ৩ তারিখ এ ভোট দিতে পারবেন। কারণ আমেরিকা পশ্চিম উপকূলের রাজ্যগুলির তুলনায় পূর্ব উপকূলের ছয়টি রাজ্যে সময় অঞ্চল, ভোটকেন্দ্র খোলা এবং বন্ধ কয়েক ঘন্টা আগেই হয়ে থাকে। সংশ্লিষ্ট রাজ্যের নির্বাচনী পুরুষ ও মহিলা নির্বাচিত হন, যেখান থেকে ইলেক্টোরাল কলেজ ৫৩৮ জন ভোটার এর সমন্বয়ে গঠিত হয়, যারা ৪১ দিন পরে রাষ্ট্রপতি এবং সহ–রাষ্ট্রপতির পক্ষে ভোট দেন। প্রার্থীদের মধ্যে যদি একজন প্রার্থী বড় ব্যবধানে জয়ী হয়, ফলাফল একই দিনে নির্ধারণ করা যেতে পারে। যদি হাড্ডাহাড্ডি প্রতিযোগিতা হয়ে থাকে তবে এটি কয়েক সপ্তাহ স্থায়ী হতে পারে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যদি ভোটাররা নির্বাচনের দিন ভোটার তালিকায় তাদের নাম খুঁজে না পান, তারপর ও তারা ভোট দিতে পারেন। তবে আপনার ভোট গণনা করা হচ্ছে কি না তা নির্বাচনের পরে স্পষ্ট হয়ে যাবে। নির্বাচনের পরের দিন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা না হওয়ার এটি আরেকটি কারণ।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যে কোনও একটি রাজ্যে বা রাজধানী ওয়াশিংটনে বসবাসরত ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সের প্রতিটি নাগরিক ভোট প্রদান করতে পারেন । পুয়ের্তো রিকো, গুয়াম বা আমেরিকান ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জের মতো বহির্গামী অঞ্চলের বাসিন্দাদের ভোটদান থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।নাগরিকত্ব থেকে বঞ্চিত বন্দী ও প্রাক্তন কারাগারের বন্দীদের ভোট দেওয়ার অধিকার নেই। ১৯৬৫ সাল থেকে কেবল আফ্রিকান–আমেরিকানদের জন্যই শর্তহীন ভোটাধিকার রয়েছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জনগণদের রেজিস্ট্রেশন করার কোনো নিয়ম নাই। তাই ভোটার হতে হলে নিজেদেরকেই ভোটার তালিকায় রেজিস্ট্রেশন করার সকল ব্যবস্থা নিজেকেই সম্পন্ন করতে হয়। তথাকথিত নিবন্ধি করণ এর ঝামেলার কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তুলনামূলকভাবে কম ভোট প্রদান করা হয়, যা সাধারণত ৫০ শতাংশের কিছু বেশি হয়। তথাকথিত নিবন্ধিকরন এর ঝামেলার কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তুলনামূলকভাবে কম ভোট প্রদান করা হয়, যা সাধারণত ৫০ শতাংশের কিছু বেশি হয়। এটি ইউরোপীয় ভোটারদের ভোটের সংখ্যার তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কম।

বিদেশে অবস্থানরত মার্কিন নাগরিক – তথাকথিত প্রবাসীরা – তারা সর্বশেষ যে রাজ্যে বাস করেছিলেন সেখানে তাদের নির্বাচনী কাগজপত্রের জন্য অনুরোধ জানান এবং তাদের ভোট সেখানে পাঠিয়ে দেন। মার্কিন দূতাবাস এটির জন্য তাদেরকে কয়েক সপ্তাহ সময় এর সুযোগ দিয়েছেন।এটি এক এক রাজ্যে এক এক ধরণের হয়ে থাকে । ওয়াশিংটন বা ওরিগন মতো রাজ্যগুলি বহু বছর ধরে ব্যক্তিগত ভাবে উপস্থিত না থেকে ডাক যোগে ভোটদানের দিকে এগিয়ে আছে এবং কানেক্টিকাটে অনুপস্থিত থেকে ডাক যোগে ভোট দেওয়ার কারণ এবং কেন নিজে উপস্থিত হয়ে ভোট দিতে পারলেন না: তার জন্য ক্ষমা চাইতে হয়। করোনার সঙ্কটের কারণে, এই বছর একটি সাধারণ ব্যাখ্যাই যথেষ্ট। ভোটিং স্লিপ পাওয়ার জন্যও বিভিন্ন বিধি রয়েছে। কিছু রাজ্যে এগুলি মেইল এর মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রেরণ করা হয়, আবার কিছু রাজ্যে পৃথক আবেদন প্রদান করা প্রয়োজন হয়। ভোটিং স্লিপ এ নির্দেশিত বক্স এ টিক মার্ক দিয়ে দেওয়ার পরে, আপনি সেটা সাধারণ মেইলে ব্যালটটি পাঠাতে পারেন বা একটি বিশেষ বাক্সে রাখতে পারেন যা অনেক শহরে বিশেষত: ভোটিংয়ের জন্য সেট আপ করা থাকে।

করোনার পরিস্থিতির কারণে, এই বছর বেশ কয়েকটি রাজ্যে ডাক ভোটকে নিরাপদ ভোট দেওয়ার উপায় হিসাবে দেখা হচ্ছে। এই বছরের প্রাথমিক পর্যায়ের নির্বাচনে আগের নির্বাচনের চেয়ে ডাকযোগে বেশি ভোট পড়েছিল। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বেশ কয়েকবার ডাক যোগে ভোটের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। তিনি নির্বাচনে ভোট জালিয়াতির সম্ভবনার কথা বলেছেন। জালিয়াতির সম্ভবনা প্রতিরোধের জন্য, ব্যালট পেপারগুলি বিশেষ কাগজে মুদ্রিত হয় এবং আরও সঠিকভাবে গণনা করার জন্য আরও বেশি সংখ্যক কর্মচারী নিযুক্ত করা হয়। কিছু জায়গায় ভোটগুলো মেশিন দ্বারা গণনা করা হয়।

১৯৩৭ সাল থেকে, নির্বাচনের পরে ঐতিহ্যবাহী এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি ২০ শে জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে । তারপরেই নতুন রাষ্ট্রপতি “হোয়াইট হাউস” এ যেতে পারেন। নির্বাচিত তারিখটি সব সময়ই ২রা নভেম্বর থেকে ৮ ই নভেম্বরের মধ্যে পড়ে। এর ঐতিহাসিক কারণগুলি হলো : ১৮৪৫ সাল থেকে নির্বাচনের দিন নভেম্বর মাসের প্রথম মঙ্গলবার ধার্য করা হয়। কংগ্রেস এ কৃষকদের উপস্থিতি থাকার জন্য এই অভিন্ন তারিখটি নির্ধারণ করেছে: কারণ ফসল ইতিমধ্যে নভেম্বর মাসে সংগ্রহ করা হয়েছে এবং হালকা জলবায়ু ভোটকেন্দ্রগুলিতে দীর্ঘতর ভ্রমণের জন্য উপযোগী হয়ে থাকে।

আমেরিকার সময় অনুযায়ী ৩ নভেম্বর এই পপুলার ভোটের হিসেব কষা হবে। পরে ইলেক্টরাল কলেজের জয়ীরা নির্বাচিত করবেন রাষ্ট্রপতি ও উপরাষ্ট্রপতিকে। আমেরিকার সংবিধান অনুযায়ী চার বছরের জন্য নির্বাচিত হন রাষ্ট্রপতি। তবে দু’বারের বেশি কেউ প্রার্থী হতে পারেন না ভোটে। সেই হিসেবে বারাক ওবাবা, জর্জ বুশ কিংবা বিল ক্লিন্টন— কেউই আর আমেরিকার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না। মূলত আমেরিকার প্রথম প্রেসিডেন্ট জর্জ ওয়াশিংটনের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই এই আইন করা হয়েছে। ওয়াশিংটন দু’বার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর তৃতীয় বার নিজে থেকেই আর প্রার্থী হননি। সেই দিক থেকে দেখলে ডোনাল্ড ট্রাম্প এ বার নির্বাচিত হলে, তিনিও চলে যাবেন বুশ, ওবামাদের দলে।

আমেরিকার রাষ্ট্রপতি নির্বাচন সব নভেম্বরের প্রথম সোমবারের পরে মঙ্গলবার হয়। এখনও পর্যন্ত সে দেশের ইতিহাসে এর কোনও নড়চড় হয়নি। তাই তারিখ নির্দিষ্ট থাকে না। নভেম্বরের ১ তারিখ মঙ্গলবার হলেও ভোট হয় পরের সপ্তাহের মঙ্গলবার। এ বছর সেই দিন ৩ নভেম্বর। ওই দিনই অগ্নিপরীক্ষা। যদিও ভারতীয় সময় অনুযায়ী সাড়ে ১০ ঘণ্টা পিছিয়ে আমেরিকা। তাই ভারতীয় সময় মঙ্গলবার রাত থেকে শুরু হবে ভোটাভুটির পর্ব।

যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্যের মধ্যে ২০টি অঙ্গরাজ্যের দলীয় নিবন্ধনের তথ্য পাওয়া গেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, ডেমোক্র্যাটিক দলের নিবন্ধিত এক কোটি ৮২ লাখ সমর্থক আগাম ভোট দিয়েছেন। রিপাবলিকানদের এ সংখ্যা এক কোটি ১৫ লাখ। এছাড়া ৮৮ লাখ নিরপেক্ষ ভোটার আগাম ভোট দিয়েছেন।### আনন্দবাজার, শুদ্ধশ্বর/২.১১.২০

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.