--- বিজ্ঞাপন ---

যে দেশের করোনা পরিস্থিতি ভাল সে দেশ থেকে কর্মী নেবে কোরিয়া

ইপিএস সিস্টেম এর আওতাভুক্ত ১৬ টি দেশের ৫২ হাজার কর্মী নিয়োগ কোটা ঘোষণা

0

ওমর ফারুক হিমেল

দক্ষিণ কোরিয়াতে এ মূহূর্তে বিপুল কর্মী দরকার। করোনার কারনে কোরিয়ায় কর্মী সংখ্যা অনেক কমে গেছে। তাই কোরিয়া সরকার আগামী বছরে বিভিন্ন খাতে কর্মী আনার ব্যাপারে একটি পরিকল্পনা করেছে। তাদের পরিকল্পনায় উল্লেখ করা হয়েছে, যে দেশের করোনা পরিস্থিতি ভালো সে দেশ থেকে কোরিয়া কর্মী নেবে। ইপিএস ভিত্তিক যে সব দেশ সমুহের করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক কেবলমাত্র সে দেশ থেকে কর্মী আনা হবে।

মালিক চাইলে যে দেশে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে সেই দেশ থেকে শর্তছাড়াই লোক নিতে পারবে। একই সাথে ২০২০ সালে প্রায় ৩০ হাজার কর্মীর সিসিভিআই আটকে আছে বা আসতে পারছেন না এদের এক পছর পূর্ণ হওয়ার পরও যদি সেই দেশের করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হয় তাহলেও কোরিয়া আসার ব্যাপারে নানা বিধিনিধে রয়েছে। ইপিএস কর্মী প্রবেশের ক্ষেত্রে পিসিআর টেস্ট, কোয়ারান্টাইন নিয়ম বাধ্যতামূলক। আসার আগে ও পরে স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণ এবং অনলাইন ক্লাসের ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। কোরিয়াতে বর্তমানে কর্মী সংকট থাকায় শিক্ষার্থীদের ই-৯ ভিসা দেওয়ার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। মালিকদের কর্মী সংকট কাটিয়ে উঠার ব্যাপারে কোরিয়া সরকার সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।  বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে আটকে পড়াদের সুখবর আসছে না। অনেকে করোনার কারনে আটকে গেলেও তাদের নিজস্ব পরিকল্পনার বাইরে কোরিয়া কিছুই করবে না। তাই এ মূহূর্তে বাংলাদেশকে কোরিয়াতে কর্মী পাঠাতে হলে শক্তভাবে করোনা মোকাবেলা করতে হবে।

সূত্র জানায়, কোরিয়াতে ম্যানুফ্যাকচারিং ৩৭৭০০ জন, কৃষি ৬৪০০ জন,মৎস্য ৩০০০ জন, কনস্ট্রাকশন ১৮০০ জন, সার্ভিস ১০০ জন, অতিরিক্ত ৩০০০জন কর্মীর চাহিদা রয়েছে। ২০২০ সালে করোনা পরিস্থিতি খারাপ থাকায় কয়েকটি দেশ থেকে রি -এন্ট্রি কর্মী আনা বন্ধ ছিল। যে সব দেশের করোনা পরিস্থিতি তূলনামূলক ভাল ছিল সে দেশের কর্মী কোরিয়ায় বেশি এসেছে। দেশে গিয়ে বর্তমানে বাংলাদেশে আটকে আছে ১৫ হাজার কোরিয়া প্রবাসী। এদের মধ্য ইপিএস কর্মী সংখ্যাই বেশি।তাছাড়া বাংলাদেশ দূতাবাস সিউল, পররাষ্ট্র, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় বোয়েসেলের উদ্যোগে ৫৬৬ জন কোরিয়ায় আসতে সমর্থ হয়। অভিবাসন খাতের সাথে সংশ্লিষ্টরা বলছেন,২০২১ সালে বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি উন্নতি না হলে বাংলাদেশ কোটার লোক প্রেরণে ব্যর্থ হবে।

জানা গেছে, কোভিড-১৯ কে কার্যকরভাবে প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে কিছু দেশ থেকে যাত্রীরা কোরিয়ায় প্রবেশের ক্ষেত্রে মিথ্যা পিসিআর টেষ্ট রিপোর্ট দাখিল করলে বিদেশী নাগরিকদের ডিপোর্ট করার জন্য আইন আরও সংশোধন করার প্রস্তাব করা হয়েছে। গত ২০ ডিসেম্বর স্বাধীন আইনজীবী লি ইয়ং হো বলেছেন, তিনিসহ আরও ১০ জন সংসদ সদস্য সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ আইনের একটি সংশোধনী বিল প্রস্তাব করেছেন, যা অভিবাসন বা কোয়ারেন্টাইন আইন ভঙ্গকারীদের কোরিয়া ত্যাগে বাধ্য করবে। গত জুলাই মাসে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে কোয়ারেন্টাইন নীতিমালা অনুযায়ী উচ্চ ঝুঁকি পূর্ণ দেশগুলো থেকে আহতদের জন্য পিসিআর এ কোভিড-১৯ টেস্টের নেগেটিভ রিপোর্ট জমা দিতে হয়।

বর্তমানে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, ফিলিফাইন এবং উজবেকিস্তান থেকে আগতদের কোরিয়ান দূতাবাস কর্তৃক নির্ধারিত মেডিকেল সেন্টার থেকে দেশ ত্যাগের ৪৮ ঘন্টার মধ্যে পিসিআর টেস্টের মাধ্যমে কোভিড-১৯ নেগেটিভ সনদ দাখিল করতে হয়। অতি সম্প্রতি ১০ টির বেশি রিপোর্টে পজেটিভ পাওয়া গেছে যারা পিসিআর টেস্টের নেগেটিভ রিপোর্ট দিয়ে কোরিয়ায় প্রবেশ করেছে। এ ছাড়া ২ জন আগত যাত্রীর ( ১ জন পাকিস্তানি এবং ১জন কাজাখস্তান) বিরুদ্ধে জাল সার্টিফিকেট দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে । রেপ লী জানিয়েছে,আমাদের বর্তমানে এমন কোন আইন নেই যার ভিত্তিতে কোরিয়া প্রবেশের নীতিমালা ভংগ করলে ডিপোর্ট করা যাবে”। এই সংশোধনীর উদ্দেশ্য হচ্ছে আমাদের সম্পদ রক্ষা করা এবং চিকিৎসার লোকসান কমানো।

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.