--- বিজ্ঞাপন ---

জর্দানে ১২ হাজার গার্মেন্টস কর্মী নিয়োগের ইন্টারভিউ শুরু হচ্ছে

0

বিশেষ প্রতিনিধি, জর্দান

বাংলাদেশের শ্রমিক দিয়ে জর্দানের গার্মেন্টস শিল্প গড়ে উঠতে যাচ্ছে। বিশেষ করে ক্লাসিক ফ্যাশন নামের একটি গার্মেন্টস কারখানা সেখানে বিনিয়োগ করেছে। এ কারখানায় বাংলাদেশী শ্রমিকরা প্রাধান্য পাচ্ছে। আবারও কারখানাটির জন্য শ্রমিক নেয়ার কাজ চলছে।

সূত্র জানায়, জর্দানের গার্মেন্টস সেক্টরের জন্য বাংলাদেশ হতে ১২ হাজার কর্মী নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিনা খরচে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন মহিলা কর্মীরা সহজেই জর্দান যেতে পারবেন। এ জন্য বাংলাদেশ ওভারসিস এমপ্লয়মেন্ট এন্ড ট্যাকনিক্যাল সার্ভিস (বোয়েসেল) বিজ্ঞপ্তি জারী করেছে।

বলা হয়েছে বিনা খরচে বোয়েসেলের মাধ্যমে সরকারিভাবে জর্দানের ক্লাসিক ফ্যাশন লিমিটেড ২০২১ সাল হতে ১২ হাজার মহিলা গার্মেন্টস মেশিন অপারেটর ও কর্মী নিয়োগ করবে।  এ লক্ষ্যে ২০২১ সালের জানুয়ারি মাস থেকে প্রতি শুক্রবার ইন্টারভিউ/ টেস্ট গ্রহণ করা হবে। চাকুরীর শর্তাবলী মধ্যে রয়েছে গার্মেন্টসের মেশিন সম্পর্কে বাস্তব অভিজ্ঞতা থাকতে হবে, বয়স ১৮ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে হতে হবে। দৈনিক ৮ ঘণ্টা ডিউটি সপ্তাহে ছয়দিন এবং স্বেচ্ছাধীন ওভারটাইম করতে পারবেন। চাকুরির চুক্তি তিন বছর। তবে এটা নবায়নযোগ্য। নিয়োগকর্তা থাকা – খাওয়া, প্রাথমিক চিকিৎসা এবং পরিবহনের ব্যবস্থা করবেন। চাকরিতে যোগদান ও তিন বছর চাকরি শেষে দেশে ফিরে আসার সময় বিমান ভাড়া নিয়োগ কর্তা  বহন করবেন। অন্যান্য শর্তাবলী জর্দানের ম্প্ররম আইন মতে প্রযোজ্য হবে। তবে যাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা আছে তাদের আবেদন গ্রহণযোগ্য হবে না।
সাক্ষাৎকারের সময় যে সব কাগজপত্র আনতে হবে তার মধ্যে রয়েছে, মূল পাসপোর্ট , মোট ৪ কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙ্গিন ছবি, বর্তমান অফিসের পরিচয় পত্র, হাজিরা কার্ড , শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা সনদ (যদি থাকে)।
যারা যাবেন তাদের মাসিক বেতন ১২০  জেডি যা বাংলাদেশী টাকায় ১৪,৫০০ টাকা। আগ্রহীরা বাংলাদেশ জার্মান টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার, মিরপুর -২ ঢাকা প্রতি শুক্রবার (সরকারি বিশেষ দিন ব্যতীত) যোগাযোগ করতে পারবেন।
উল্লেখ্য, জর্দানের সবচেয়ে বড় তৈরি পোশাক প্রতিষ্ঠান এই ক্লাসিক ফ্যাশন অ্যপারেল। কারখানার শ্রমিকদের বেশিরভাগ নেয়া হয়েছে বাংলাদেশ থেকে। কোম্পানিটির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী সেখানে তিরিশ হাজারের মতো শ্রমিক রয়েছে। দেশটিতে মানবাধিকার ও আইনি সহায়তা দেয় এমন একটি সংস্থা তামকিন ফর লিগাল এইড অ্যন্ড হিউম্যান রাইটস বলছে, এই শ্রমিকদের অর্ধেকের বেশি বাংলাদেশি নারী শ্রমিক। এ সংক্রান্ত তথ্যের জন্য ওয়েব সাইট হচ্ছে-www.boesl.gov.bd
আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.