--- বিজ্ঞাপন ---

প্রতি বছর বাংলাদেশে ১৪ হাজারেরও বেশি শিশু পানিতে ডুবে মারা যায়

রোটারী ক্লাব অব রয়েলস এর সভায় ড. মো. ইদ্রিস আলম

0

অধ্যাপক ড. মো. ইদ্রিস আলম বলেছেন, প্রতি বছর বিশ্বে ৩ লাখ ৬০ হাজার শিশু পানিতে ডুবে মারা যায়। এদের মধ্যে ১৪ হাজার ৪৩৮ জনই বাংলাদেশে। প্রতিদিন গড়ে ৪৩ শিশুর মৃত্যু বাংলাদেশে হচ্ছে এই পানিতে ডুবে। অধিকাংশ ঘটনা সাধারনত সকাল ৮ টা থেকে দুপুর ১ টার মধ্যে ঘটে, যখন তাদের বাবা মা নানা কাজে ব্যস্ত থাকে। পানিতে ডু্বে মৃত্যুর বিষয়টি আমরা গুরুত্বহীনভাবে দেখছি বলে এর প্রবনতা বাড়ছে। সচেতনতার মাধ্যমে এটি নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে আগামী প্রজম্মের জন্য বিষয়টি আরও হুমকি হয়ে দাড়াতে পারে।

শনিবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সুলতান আহমদ মিলনায়তনে রোটারী ক্লাব অব চিটাগাং রয়েলস এর সভায় মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। ক্লাব সভাপতি রোটারীয়ান ইকবালুর রহমানের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সাবেক জেলা গর্ভণর রোটারীয়ান অধ্যাপক তৈয়ব চৌধুরী, জেলার এ্যাসিসট্যান্ট গর্ভণর রোটারীয়ান কাজী আবুল মনসুর, ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি রোটারীয়ান জসিম উদ্দিন চৌধুরী, আইপিপি রোটারীয়ান আহমেদ মুনির, ক্লাব সদস্য রোটারীয়ান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবদুল্লাহ আল ইউসুফ, রোটারীয়ান ক্যাপ্টেন শিমুল দত্ত, রোটারীয়ান আবসার চৌধুরী, রোটারীয়ান জাহাঙ্গীর আলম, রোটারীয়ান ডা. কাউসার হোসেন রিপন, রোটারীয়ান গোলাম মোস্তাফা ইকবাল প্রমূখ।

ড. ইদ্রিস বলেন, পানিতে ডুবে মৃত্যুর প্রধান কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে, বয়স্কদের তত্বাবধানের অভাব,শিশু পরিচর্যা কেন্দ্রের অভাব,উচ্চ দারিদ্র্য ও নিরক্ষরতা, পুকুর জলাশয়ের আধিক্য, পুকুর ও জলাধারে নিরাপত্তা, সাতাঁর না জানা। তিনি বরেন, এটি প্রতিরোধের কোন বিকল্প নেই। সচেতনতা বৃদ্ধি, পুকুর ও জলাশয়ে শিশুদের প্রবেশ সীমিত করা, বেষ্টনীযুক্ত খেলাঘর প্রদান, সাতাঁরের সময়সহ পানিতে সার্বক্ষনিক নিরাপত্তা, প্রশিক্ষিত সিপিআর প্রদানের মাধ্যমে এটি নিয়ন্ত্রনে আনা সম্ভব।#

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.