--- বিজ্ঞাপন ---

পাকিস্তানী দরিদ্র মেয়েদের পাচার করা হচ্ছে চীনে!!!

0

পাকিস্তানী দরিদ্র মেয়েদের পাচার করা হচ্ছে চীনে। অনেকদিন ধরে ভয়াবহ এ তথ্যটি নিয়ে পাকিস্তানে তোলপাড় চলছে। পাকিস্তানের দরিদ্র সুন্দরী মেয়েদের চীনা পুরুষদের কাছে কনে হিসেবে বিক্রি করা হচ্ছে। দ্যা এসোসিয়েট প্রেস (এএফপি) এরে এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ৬২২ জনের একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এ তালিকাটি পাক সরকারের উচ্চপর্যায়েও আছে। কিন্ত পাক সরকারের সাথে চীনের দহরম মহরম এত বেশি যে, তারা বিষয়টি দেখেও না দেখার ভান করে আছে। ২০১৮ সালের পর থেকে এ কাজটি বেশি হচ্ছে। এটি প্রচার হওয়ার পর থেকে পাক সরকারের অভ্যন্তরে তদন্ত শুরু হয়। তদন্ত প্রতিবেদনে বিষয়টির সত্যতা মেলে। পাক সরকারের অভ্যন্তরে বিষয়টি নিয়ে নানা আলোচনার পর শুরু হয়। সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে অভিযানে নামে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। পাচারকারীদের বিরুদ্দে মামলা শুরু হয়। কিন্ত হঠাৎ করে এটি থমকে যায়। স্থবির হয়ে পড়ে তদন্ত কাজ। তদন্ত কর্মকর্তারা বলছেন যে, বেইজিংয়ের সাথে পাকিস্তানের লাভজনক সম্পর্কের ক্ষতি হওয়ার ভয়ে সরকারী কর্মকর্তাদের চাপের কারণেই এ অবস্থা। পাচারকারীদের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় মামলাটি স্থবির হয়ে আছে।

পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে গেছে, ফয়সালাবাদের একটি আদালত পাচারের অভিযোগে অভিযুক্ত ৩১ জন চীনা নাগরিককে খালাস দিয়েছে।  আদালতের এক কর্মকর্তা এবং এ মামলার সাথে পরিচিত একজন পুলিশ তদন্তকারী জানান, যে পুলিশ প্রাথমিকভাবে পুলিশ ভিকটিমদের সাথে কথা বলেছিলেন তাকে হুমকি দেয়া হয়। ফলে বেশিরভাগই সাক্ষ্য দিতে অস্বীকার করে। এমনকি নীরব থাকার জন্য ঘুষও দেয়া হয়েছিল। সূত্র জানায়, সলিম ইকবাল নামের এক ব্যক্তি বেশ কয়েকজন যুবতী মেয়েকে চীন থেকে উদ্ধার করে অভিভাবকদের কাছে নিয়ে যান। বিষয়টি জানাজানি হলে, পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রকরা কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি। এই ঘটনার সাথে পরিচিত বেশ কয়েকজন উর্ধতন কর্মকর্তা বলেন, পাচারের তদন্তের গতি কমে গেছে। তদন্তকারীরা হতাশ। পাকিস্তান মিডিয়া পাচারের বিষয়ে প্রতিবেদন করতে গেলে চাপ দেয়া হয়। কর্মকর্তারা নাম প্রকাশ না করার শর্তে, অনেকে  প্রতিশোধের হুমকি দেয়। একজন কর্মকর্তা দুঃখ করে বলেন, “এই মেয়েদের সাহায্য করতে কেউ কিছু করতে পারছে না। পুরো র‌্যাকেট অব্যাহত রয়েছে, এবং এটি বাড়ছে ? আমাদের মানবতা কোথায়?”

এ বছরের শুরুর দিকে এপি তদন্তে প্রকাশিত হয়েছিল, কীভাবে পাকিস্তানের দালালদের  নতুন টার্গেটে পরিণত হয় দরিদ্র পিতামাতা, তাদের কন্য। এটি একটি লাভজনক ব্যবসা। চীন ও পাকিস্তানি দালালরা একটি মেয়েকে পাচার করা থেকে ৪ মিলিয়ন থেকে ১০ মিলিয়ন রুপি করে।  পরিবারকে প্রায় ২,০০,০০০ রুপি দেয়া হয়্তি বাকিটা ভাগ বাটোয়ারা হয়।পাকিস্তানের তদন্ত সংস্থা প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের কাছে “নকল চীনা বিবাহের মামলা” শীর্ষক একটি প্রতিবেদন পাঠিয়েছিল। এ প্রতিবেদনের এপি’র কাছে আসে।  প্রাপ্ত কপির প্রতিবেদনে পাঞ্জাবের প্রদেশের দুটি শহর-ফয়সালবাদ, লাহোর – পাশাপাশি রাজধানী ইসলামাবাদে ৫২ জন চীনা নাগরিক এবং তাদের ২০ জন সহযোগীর বিরুদ্ধে নথিভুক্ত মামলার বিবরণ দেওয়া হয়। চীনা সন্দেহভাজনদের ৩১ জনকে পরে আদালতে খালাস দিয়েছিল। এই মামলায় চীনা আসামিরা সবাই জামিন নিয়ে দেশ ত্যাগ করেছেন। নেতাকর্মী ও মানবাধিকার কর্মীরা বলেছেন, চীনের সাথে পাকিস্তানের ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক সম্পর্কের ক্ষতি হতে পারে। এ কারনে নারী পাচার বিষয়টি গোপন রাখা হয়। চীনে বিদেশী কনেদের চাহিদা মূলত সেই দেশের জনসংখ্যায়, যেখানে মহিলাদের তুলনায় প্রায় ৩৪ মিলিয়ন বেশি পুরুষ রয়েছে। #### ৭.১২.১৯

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.