--- বিজ্ঞাপন ---

ইরান নতুন প্রেসিডেন্ট পাবে আজ

0

ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের ১৩তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে। আজ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পাশাপাশি সিটি কাউন্সিল ও স্থানীয় পরিষদের মূল নির্বাচন এবং পার্লামেন্ট ও বিশেষজ্ঞ পরিষদের মধ্যবর্তী নির্বাচনের ভোটগ্রহণও চলছে। সকাল ৭টা থেকেই ভোটকেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের বিপুল উপস্থিতি দেখা যায়। সকাল ৭টায় ভোটগ্রহণ শুরু হতেই নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী।
এ সময় তিনি বলেন, নির্বাচনের দিনটি হচ্ছে ইরানি জাতির দিন। আজকের মূল কারিগর হচ্ছে জনগণ। আজ জনগণ ভোট দেওয়ার মাধ্যমে আগামী বছরগুলোর জন্য দেশের দায়িত্ব ও করণীয় নির্ধারণ করবে। আজ ইরানি জাতি যে ভূমিকা রাখবে তা তাদের ভবিষ্যতের ওপর প্রভাব ফেলবে এবং আগামী কয়েক বছরের জন্য ভাগ্য গঠন করবে। ভোট কেন্দ্রগুলোতে ব্যাপক ভোটার উপস্থিতির প্রথম সুফল পাবে এদেশের জনগণ, সেইসঙ্গে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও ইরানের অবস্থান সমুন্নত হবে। কেউ যেন একথা না ভাবে যে, তার একটি ভোটের কি মূল্য আছে। একটি ভোটেরও গুরুত্ব রয়েছে। আমার মতে, ঐশী লক্ষ্যকে সামনে রেখে ভোট দিন এবং সওয়াবের ভাগীদার হোন।’

নির্বাচনে  প্রেসিডেন্ট পদে ৮ প্রার্থী মনোনয়ন নিয়েছেন,  তারা হলেন, সাইয়েদ ইব্রাহিম রায়িসি, মোহসেন রেজায়ি, মোহসেন মেহের আলীজাদে, সাঈদ জালিলি, আলী রেজা যাকানি, আব্দুন নাসের হেম্মাতি ও সাইয়্যেদ আমির হোসেন কাজিজাদে হাশেমি। তবে শেষ পর্যন্ত ৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন বলে জানা গেছে।

ইরানে আট বছর পরপর সংস্কারপন্থী ও রক্ষণশীলদের মধ্যে ক্ষমতার পালাবদল ঘটে। টানা দুই নির্বাচনে সংস্কারপন্থীরা জয় পেলে পরের দুই নির্বাচনে রক্ষণশীলরা জেতে। জনগণ এই রীতির ব্যত্যয় না ঘটালে এবার রক্ষণশীলদের পালা। সংস্কারপন্থী প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি দুই মেয়াদে ৮ বছর দায়িত্ব পালন করেছেন। দ্বিতীয় মেয়াদে তাকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কঠোর নিষেধাজ্ঞা মোকাবেলা করতে হয়েছে। এ কারণে ইরানিদের ওপর অর্থনৈতিক চাপ বেড়েছে যা সংস্কারপন্থীদের জনপ্রিয়তায় কিছুটা ভাটা এনেছে। গত বছরের ২১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনে ভালো করতে পারেনি সংস্কারপন্থীরা। ঐ নির্বাচনে রক্ষণশীলরা সংসদের দুই-তৃতীয়াংশের বেশি আসনে জিতেছে।##

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.