--- বিজ্ঞাপন ---

মার্কিনীদের বদৌলতে বিপুল অস্ত্র সরঞ্জামের মালিক তালেবান

0

আফগানিস্তান থেকে আকস্মিকভাবে মার্কিন বাহিনী প্রত্যাহার করার পর আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর দ্রুত পতন ঘটে এবং এ প্রেক্ষাপটে কয়েকশ কোটি ডলারের মার্কিন অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম তালেবানের হাতে পড়েছে। এসব অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জামের মধ্যে ব্ল্যাক হক হেলিকপ্টার থেকে শুরু করে এ-২৯ সুপার টুকানো বিমান রয়েছে।

আফগানিস্তানের ওপর তালেবানের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করার পর তাদের হাতে বহুল ব্যবহৃত একে-৪৭ রাইফেলের পরিবর্তে মার্কিন নির্মিত এম-৪ কারবাইন এবং এম-১৬ রাইফেল দেখা গেছে। এছাড়া, তালেবান যোদ্ধাদেরকে মার্কিন হামভি ও মাইন প্রতিরোধক অ্যাম্বুশ প্রটেক্টেড গাড়িতে দেখা গেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, তালেবানের হাতে মার্কিন অস্ত্র থাকার অর্থ হচ্ছে মনস্তাত্ত্বিকভাবে তারা বিজয়ী।আমেরিকা দাবি করেছে, তারা আফগান নিরাপত্তা বাহিনীকে প্রশিক্ষণ ও অস্ত্রসজ্জিত করতে গত ২০ বছরে আট হাজার কোটি ডলার খরচ করেছে। কিন্তু তাদের এই প্রশিক্ষণ ও অস্ত্রপাতি তালেবানের হামলার ঠেকাতে পারে নি বরং মার্কিন সেনাদের কাছে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সদস্য তালেবানে যোগ দিয়েছে। আফগানিস্তান থেকে আকস্মিকভাবে মার্কিন বাহিনী প্রত্যাহার করার পর আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর দ্রুত পতন ঘটে এবং এ প্রেক্ষাপটে কয়েকশ কোটি ডলারের মার্কিন অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম তালেবানের হাতে পড়েছে। এসব অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জামের মধ্যে ব্ল্যাক হক হেলিকপ্টার থেকে শুরু করে এ-২৯ সুপার টুকানো বিমান রয়েছে।

আফগানিস্তানের ওপর তালেবানের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করার পর তাদের হাতে বহুল ব্যবহৃত একে-৪৭ রাইফেলের পরিবর্তে মার্কিন নির্মিত এম-৪ কারবাইন এবং এম-১৬ রাইফেল দেখা গেছে। এছাড়া, তালেবান যোদ্ধাদেরকে মার্কিন হামভি ও মাইন প্রতিরোধক অ্যাম্বুশ প্রটেক্টেড গাড়িতে দেখা গেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, তালেবানের হাতে মার্কিন অস্ত্র থাকার অর্থ হচ্ছে মনস্তাত্ত্বিকভাবে তারা বিজয়ী।

আমেরিকা দাবি করেছে, তারা আফগান নিরাপত্তা বাহিনীকে প্রশিক্ষণ ও অস্ত্রসজ্জিত করতে গত ২০ বছরে আট হাজার কোটি ডলার খরচ করেছে। কিন্তু তাদের এই প্রশিক্ষণ ও অস্ত্রপাতি তালেবানের হামলার ঠেকাতে পারে নি বরং মার্কিন সেনাদের কাছে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সদস্য তালেবানে যোগ দিয়েছে।

মার্কিন গভর্নমেন্ট একাউন্টিবিলিটি অফিসের ২০১৭ সালের তথ্য অনুসারে- আমেরিকা আফগানিস্তানকে ৭৫,৮৯৮টি গাড়ি; ৫,৯৯,৬৯০টি অস্ত্র; ১,৬২,৬৪৩টি যোগাযোগের সরঞ্জাম, ২০৮টি বিমান ও হেলিকপ্টার এবং ১৬,১৯১টি গোয়েন্দা ও নজরদারি সরঞ্জাম দিয়েছে। ২০০৩ সাল থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে এসব অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম দেয়া হয়। এছাড়া, ২০১৭ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত আফগানিস্তানকে ৭,০৩৫টি মেশিনগান; ৪,৭০২টি হামভি গাড়ি; ২০,০৪০টি হ্যান্ড গ্রেনেড; ২,৫২০টি বোমা ও ১,৩৯৪টি গ্রেনেড লাঞ্চার দিয়েছে ওয়াশিংটন।

আফগানিস্তানকে দেয়া বিমান ও হেলিকপ্টারের ৪৬টি এখন উজবেকিস্তানে রয়েছে। তালেবানের হাতে রাজধানী কাবুলের পতনের পর এসব এয়ারক্র্যাফট ব্যবহার করে আফগানিস্তানের প্রায় ৫০০ সেনা উজবেকিস্তানে পালিয়ে যায়। বাকিগুলো তালেবানের হাতে রয়েছে।

বাড়ী বাড়ী তল্লাশি

জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তালেবান তাদের বিরোধীদের একটি কালো তালিকা তৈরি করে সেই তালিকা অনুযায়ী বাড়ি বাড়ি তল্লাশি চালাচ্ছে। ওই প্রতিবেদনের একটি কপি এএফপির হাতে এসেছে। এতে আরো বলা হয়েছে, যাদেরকে তল্লাশি চালিয়ে বাড়িতে পাওয়া যাচ্ছে না তাদের নিকটাত্মীয়দের আটক করার হুমকি দিয়েছে তালেবান।

জাতিসংঘ বলেছে, যেসব আফগান নাগরিক আমেরিকা ও ন্যাটো জোটের পক্ষে কাজ করেছে মূলত তাদেরকে টার্গেট করে ওই কালো তালিকা তৈরি করেছে তালেবান।এমন সময় এই গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে এই পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে যখন তালেবান মুখপাত্র জবিউল্লাহ মুজাহিদ গত মঙ্গলবার প্রথমবারের মতো প্রকাশ্য জনসমক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা করেন, তারা আফগান জনগণের প্রতি সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছেন। কাউকে তার অতীত কর্মকাণ্ডের জন্য শাস্তি পেতে হবে না।

গত ১৫ আগস্ট আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল দখলের মাধ্যমে গোটা দেশের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করে তালেবান। এর পরপরই সবার প্রতি সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করার পাশাপাশি জনগণের ব্যক্তি স্বাধীনতা, নারীর শিক্ষা ও চাকুরি করার স্বাধীনতা, দেশের জনগণ ও প্রতিবেশী দেশগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দেয় তালেবান।

কি বলছে পাক সেনা প্রধান

আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া। একইসঙ্গে তিনি আশা প্রকাশ করে বলেছেন, মানবাধিকার ও নারী অধিকার রক্ষা করার যে প্রতিশ্রুতি তালেবান দিয়েছে তা এই গোষ্ঠী বাস্তবায়ন করবে বলে ইসলামাবাদ আশা করছে।

জেনারেল বাজওয়া গতকাল (শুক্রবার) পাকিস্তানের এবোটাবাদ শহরের একটি সামরিক ক্যাডেট কলেজ পরিদর্শনে গিয়ে এক বক্তব্যে একথা বলেন। তিনি বলেন, আফগানিস্তানের অস্থিতিশীলতা ও গোলযোগের জন্য পাকিস্তানকে অভিযুক্ত করে যেসব বক্তব্য দেয়া হয় সে ব্যাপারে ইসলামাবাদ নীরব থাকবে না।

পাক সেনাপ্রধান দাবি করেন, পাকিস্তান বরং আফগানিস্তান সংকট সমাধানে সহযোগিতা করার পাশাপাশি আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে। জেনারেল বাজওয়া বলেন, আফগানিস্তানের নিরাপত্তাহীনতার কারণে পাকিস্তানকে এ পর্যন্ত চড়া মূল্য দিতে হয়েছে। তিনি আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সহযোগিতা করার জন্য আন্তর্জাতিক সমাজের প্রতি আহ্বান জানান।

এদিকে পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ রশিদ আহমেদ ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, আফগানিস্তানে শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠিত হলে তাতে উপকৃত হবে পাকিস্তান। এ কারণে দেশটির শান্তি প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করার জন্য সম্ভাব্য সবরকম চেষ্টা করবে ইসলামাবাদ।

পাক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তালেবানকে স্বীকৃতি দেয়া হবে কিনা সে ব্যাপারে শিগগিরই পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তার মন্ত্রিসভা সিদ্ধান্ত নেবে।#পার্সটুডে

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.