--- বিজ্ঞাপন ---

স্টিলিথ জেট ফাইটার ধ্বংস নিয়ে ঘুম হারাম আমেরিকার

0

দক্ষিণ চীন সাগরে গত ২৪শে জানুয়ারি মার্কিন নৌবাহিনীর একটি এফ-৩৫সি সিরিজের স্টিলিথ জেট ফাইটার ধ্বংস হয়ে গেছে। তবে এখনো পর্যন্ত মার্কিন নৌবাহিনী এর সম্পূর্ণ ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করতে পারেনি। দক্ষিণ চীন সাগরে ধ্বংসপ্রাপ্ত এফ-৩৫সি যুদ্ধবিমানটি উদ্ধারে ব্যাপক অভিযান শুরু করে দিয়েছে মার্কিন নৌবাহিনী। কারণ মার্কিন সামরিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এফ-৩৫ স্টিলথ জেট ফাইটার বিশ্বের সবচেয়ে আধুনিক ফাইটার জেট। এর রাডার থেকে শুরু করে ওয়েপনস কন্ট্রোল সিস্টেম প্রযুক্তি অত্যন্ত গোপনীয় এবং অত্যন্ত উচ্চ স্টিলথ প্রযুক্তির সমন্বয়ে তৈরি করা হয়েছে।

আমেরিকার ধারণা চীন যে কোন অবস্থায় এটি গোপনে চুরি করে নিয়ে যেতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে। আর এটি চীন হাতিয়ে নিতে পারলেই ক্লোন কপি বা রিভার্স ইঞ্জিনিয়ারিং এর মাধ্যমে আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই এফ-৩৫ এর চীনা সংস্করণ জে-৪২ বা অন্য কোন নামে নতুন মডেলের স্টিলথ জেট ফাইটার তৈরি করে ফেলবে। যদিও বাস্তবে চীনও কিন্তু গোপনে তার ড্রোন সাবমেরিন পাঠিয়ে এফ-৩৫ এর বিভিন্ন অংশ দক্ষিণ চীন সাগর থেকে উদ্ধারে চেষ্টার কোন ত্রুটি করবে বলে মনে হয় না। এখানে এই যুদ্ধবিমানের একটি ছোট ডিভাইস বা টুকরো অংশ প্রাপ্তিও কিন্তু চীনের এভিয়েশন ডেভলপমেন্টের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কিছু একটা হয়ে যেতে পারে। আর এমনটি আশাঙ্কা প্রকাশ করছে আমেরিকার এভিয়েশন প্রযুক্তিবিদেরা।

মার্কিন এভিয়েশন জায়ান্ট লকহীড মার্টিন কর্পোরেশনের তৈরি বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল মাল্টি-ন্যাশন ১.২৭ ট্রিলিয়ন ডলারের এফ-৩৫ এডভান্স স্টিলথ জেট ফাইটার প্রজেক্টের আওতায় এফ-৩৫বি সিরিজের যুদ্ধবিমান প্রথম ২০১৫ সালে সার্ভিসে আসে। তবে অত্যন্ত ব্যয়বহুল এই যুদ্ধবিমান আকাশে প্রথম ক্রাস করে ২৮শে সেপ্টেম্বর ২০১৮ সালে। সেই ২০১৮ সাল থেকে ২০২২ সালের ২৪শে জানুয়ারি পর্যন্ত সারা বিশ্বে মোট ৭টি বিভিন্ন সিরিজের এফ-৩৫ স্টিলিথ জেট ফাইটার একেবারে নন-কমব্যাট মিশনে ক্রাস বা ধ্বংস হয়। তবে আশ্চর্যজনক তথ্য হচ্ছে যে, এফ-৩৫ সার্ভিসে আসার এক বছর আগেও ২০১৪ সালে পরীক্ষামুলক এক উড্ডয়নে একবার ধ্বংস হয়েছিল।

২০০৬ সাল থেকে ২০২২ সালের জানুয়ারি মাস পর্যন্ত মোট ৭৫০টি এফ-৩৫ স্টিলথ জেট ফাইটার তৈরি করা হয়েছে। তবে আন্তর্জাতিক বাজারে এর চাহিদা বৃদ্ধির করার লক্ষ্যে এর প্রতি ইউনিট বিক্রয় মূল্য ধাপে ধাপে কমিয়ে আনা হলেও এর পার আওয়ার অপারেটিং এণ্ড মেইনট্যানেন্স কস্ট কিন্তু আনুমানিক প্রায় ৩৬-৪০ হাজার ডলার বা তার বেশি হয়ে থাকে। যা কিনা মধ্যম ও স্বল্প আয়ের দেশের জন্য এটি ব্যয়বহুল সাদা হাতি পালার মতো অবস্থা হয়ে যেতে পারে।

তাছাড়া নিদিষ্ট ঘন্টা উড্ডয়নের পর এর স্টিলথ ক্যাপাবিলিটি ধরে রাখার জন্য আবশ্যিকভাবে জেট ফাইটারগুলোকে কোম্পনির মাধ্যমে গোপন কোটিং দিতে হয়। যার খরচ কিন্তু সম্পূর্ণ আলাদাভাবে যুদ্ধবিমান ক্রয়কারী দেশকে বহণ করতে হবে। আর এই কোটিং দেয়ার খরচ যে খুব কম হবে এমনটি আশা করার কোন সুযোগ থাকে না।#

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.