--- বিজ্ঞাপন ---

একদিকে করোনা, অনদিকে রাশিয়া- ইউক্রেন যুদ্ধে কাহিল বিভিন্ন দেশের অর্থনীতি

0

২০২০ সাল থেকে শুরু হওয়া করোনা মহামারির পাশাপাশি ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের উত্তাপে চলমান বৈশ্বিক মহামন্দার কবলে অধিকাংশ দেশই আজ কোন না কোন ভাবে অর্থনৈতিক সংকটের মুখে পতিত হয়েছে। আর এ থেকে রেহাই পায়নি চীন এবং আমেরিকার মতো বৃহৎ আকারের অর্থনীতির দেশগুলো। গত বৃহস্পতিবার পিপলস ব্যাংক অব চায়নার প্রকাশিত তথ্যমতে, চলতি ২০২২ সালের ৩০শে জুন চীনের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কিছুটা হ্রাস পেয়ে ৩.০৭১২৭ ট্রিলিয়ন ডলার বা ৩০৭১.২৭ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে।
যদিও বিগত ১৭ বছর থেকে বিশ্বের সর্বোচ্চ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ অর্জনকারী দেশ হিসেবে চীন তার নিজের যোগ্য স্থান ধরে রেখেছে। গত মে মাসে চীনের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৩.১২৮ ট্রিলিয়ন ডলার। সে হিসেবে গত জুন মাসে চীনের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমেছে ৫৬.৫১ বিলিয়ন ডলার। তাছাড়া ২০২২ সালের জুন মাস শেষে চীনের বৈদেশিক ঋন ও দেনার স্থিতির পরিমাণ ছিল ২.৭১ ট্রলিয়ন ডলার বআ ২,৭১০ বিলিয়ন ডলার।
এদিকে দক্ষিণ এশিয়ার বৃহৎ অর্থনীতির দেশ হিসেবে ২০২২ সালের ১লা জুলাই তারিখে ভারতের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের স্থিতির পরিমাণ প্রায় ৫.০১ বিলিয়ন ডলার হ্রাস পেয়ে ৫৮৮.৩ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসে। অথচ গত জুন মাস শেষে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৫৯৩.৩১ বিলিয়ন ডলার। যদিও ২০২১ সালের ৩১শে ডিসেম্বরের হিসেব অনুযায়ী ভারতের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দেশটির ইতিহাসে রেকর্ড পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়ে ৬৩৩.৮৬ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছে গিয়েছিল। যেখানে দেশটির বৈদেশিক মোট ঋন ও দেনার স্থিতির পরিমাণ ৬২০.৭ বিলিয়ন ডলারে এসে পৌঁছেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সদ্য প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০২২ সালের জুন মাস শেষে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪১.৮৩ বিলিয়ন ডলার দেখানো হয়েছে। যেখানে ২০২১ সালের আগস্ট মাসে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল সর্বোচ্চ ৪৮.০৬ বিলিয়ন ডলার এবং সোনার মজুত ছিল প্রায় ১৪ টন। গত ১০ই মে দ্যা ডেইলী স্টার নিউজের দেয়া তথ্যমতে, ২০২১-২২ অর্থবছর শেষে বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋন ও দেনার স্থিতির পরিমাণ ছিল ৬০.১৫ বিলিয়ন ডলার।
এদিকে আইএমএফ এবং চীনের বৈদেশিক ঋনের উপর ভিত্তি করে পাকিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কিছুটা চাঙ্গা হলেও তা কিন্তু দেশটির মোট বৈদেশিক ঋন ও দেনার কাছে কিছুই না। স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তানের দেয়া তথ্যমতে, চলতি ২০২২ সালের ৩০শে জুনের হিসেব অনুযায়ী পাকিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ১৫.৭৪২৪ বিলিয়ন ডলার। যেখানে গত এপ্রিল মাসের এক তারিখে পাকিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল মাত্র ১১.৩২ বিলিয়ন ডলার। অথচ ৩১শে ডিসেম্বর ২০২১ সালের হিসেব অনুযায়ী পাকিস্তানের বৈদেশিক ঋনের স্থিতির পরিমাণ ছিল প্রায় ১৩০.৬৩ বিলিয়ন ডলার। তবে চলতি ২০২২ সালের মার্চ মাস শেষে পাকিস্তানের বৈদেশিক ঋন ও দেনার স্থিতির পরিমাণ কিছুটা হ্রাস পেয়ে ১২৮.৯২ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে।
চলতি ২০২২ সালের মে মাস শেষে দক্ষিণ এশিয়ার আরেক দেশ শ্রীলংকার বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কিছুটা বৃদ্ধি পেয়ে ১.৯২ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছে। যেখানে গত এপ্রিল মাসে দেশটির বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ১.৮১ বিলিয়ন ডলার। তবে ৩১শে মার্চ ২০২২ সালের হিসেব অনুযায়ী শ্রীলংকার মোট বৈদেশিক ঋন ও দেনার স্থিতির পরিমাণ ছিল ৫০.৬০ বিলিয়ন ডলার। যা কিনা দেশটির অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও সক্ষমতা ধ্বংসের অন্যতম কারণ হয়ে দেখা দিয়েছে।
তাছাড়া ৩১শে মার্চ ২০২২ সালের হিসেব মতে, নেপালের বৈদেশিক ঋন ও দেনার স্থিতির পরিমাণ ছিল ৭.৭৫ বিলিয়ন ডলার এবং গত মে মাসে দেশটির বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৯.২৮ বিলিয়ন্ন ডলার। একই সময়ে ভুটানের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ১.৩৩ বিলিয়ন ডলার এবং বৈদেশিক ঋন ও দেনার পরিমাণ প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলার। তাছাড়া মিয়ানমারের বর্তমান অর্থনৈতিক সক্ষমতা ও বাস্তব অবস্থা নিয়ে ইন্টারনেটে কোন ধরণের তথ্য উপাত্ত পাওয়ার সুযোগ নেই।#

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.