--- বিজ্ঞাপন ---

ফিলিস্তিনের আদালতের কাঠগড়ায় ব্রিটেন

0

আব্দুল্লাহ আরাফাত ##

সোমবার ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরের নাবলাস শহরের একটি আদালত ১৯১৭ সালের ব্যালফোর ঘোষণাপত্র নিয়ে ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের জন্য     অধিবেশনে বসেছে। ১৯৪৮ সালে জায়নবাদী গোষ্ঠীর নির্যাতনে যে সব ফিলিস্তিনি বাড়িঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন আদালত তাদের বক্তব্য ও সাক্ষ্য নিয়েছে। যদিও এই অধিবেশনে কোনও ব্রিটিশ প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন না।”ব্যালফোর ঘোষণার ফলে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সে সম্পর্কে ব্রিটেনকে জবাবদিহিতায় আনার জন্য এটি একটি গুরুতর ও সংগঠিত পদক্ষেপ,”- বলেছেন মুনিব আল-মাসরি যিনি ফিলিস্তিনি পরিবারগুলির পক্ষ থেকে প্রতিনিধিত্ব করছেন।

এই ঘোষণাকে কেন্দ্র করে তিনি ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে ব্রিটিশ এবং আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা দায়ের করার পরিকল্পনা উন্মোচন করেছেন। এদিকে, আদালত শুনানি আগামী ২ ডিসেম্বর স্থগিত করেছেন। মামলাটিতে বলা হয়েছে, “বিধি আইন ভঙ্গ, নৈতিকতা এবং আন্তর্জাতিক আইন অমান্যের পরিণতি এবং ব্যালফোর ঘোষণাসহ ফিলিস্তিনকে ঔপনিবেশিকরণের সময় ঘটে যাওয়া অপরাধের জন্য ব্রিটেন আইনত দায়বদ্ধ”।

অটোমান সাম্রাজ্যের (বর্তমান তুরস্ক) সেনাবাহিনীর সাথে রক্তাক্ত লড়াইয়ের পরে ১৯১৭ সালে ব্রিটেন ফিলিস্তিন দখল করে এবং ১৯৪৮ সালে ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রস্তুতির জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ১৯৪৮ সালে ব্রিটেনে ফিলিস্তিন থেকে সরে আসার পরে ফিলিস্তিনের ভূমি জায়নবাদী দলগুলি দখল করে নিতে শুরু করে এবং ইসরাইল রাষ্ট্র গঠনের ঘোষণা দেয়। এর ফলে দলে দলে সাধারণ ফিলিস্তিনিরা গৃহহারা হতে শুরু করে। ফিলিস্তিনিরা এই ঘটনাটিকে ’নাকবা’ বলে আখ্যায়িত করেছিল।

তৎকালীন সময়ে, ফিলিস্তিনের তিন চতুর্থাংশ ইসরায়েলিদের নিয়ন্ত্রণে চলে আসে, জর্ডান পশ্চিম তীর এবং মিশর গাজা উপত্যকা পরিচালনা করেছিল। ১৯৬৭ সালের যুদ্ধে, ইসরায়েল পূর্ব জেরুজালেম, মিশরের সিনাই উপদ্বীপের পাশাপাশি গাজা উপত্যকা এবং সিরিয়ার গোলান মালভূমি সহ পশ্চিম তীর দখল করে নিয়েছিল। ১৯৯৩ সালে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা সংগ্রাম (পিএলও) মধ্যে নরওয়ের রাজধানী অসলোতে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের পর পশ্চিম তীরের প্রধান শহরগুলি (জেরুজালেম বাদে) এবং গাজা উপত্যকাগুলি ফিলিস্তিনি জাতীয় কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করেছিল। অসলো শান্তি চুক্তির পর নোবেল পুরষ্কার পেয়েছিলেন তখনকার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী ইতজাক রাবিন এবং ফিলিস্তিনের  অবিসংবাদিত নেতা ইয়াসির আরাফাত।  সূত্রঃ আনাদুলু এজেন্সি

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.