--- বিজ্ঞাপন ---

বাংলাদেশের গাছের চারা যাচ্ছে কাতারে

0

সবুজায়নের জন্য বাংলাদেশ থেকে গাছের চারা নিচ্ছে কাতার। আট প্রজাতির প্রায় চার হাজার চারা গাছের একটি চালান এরই মধ্যে রফতানি হয়েছে কাতারে। গাছের চারা রপ্তানির অপার সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো গেলে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সম্ভব হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বাংলাদেশি বিভিন্ন ফলের চাহিদা বাড়ছে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে। এরই ধারাবাহিকতায় এবার মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারে রফতানি হলো মাল্টা, জামরুল, লেবু, সফেদা, কাঠ বাদাম, নিম ও বট গাছের প্রায় চার হাজার চারা।সম্প্রতি গাছের চালানটি নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর ছেড়ে যায় মার্কস শিপিং লাইনের জাহাজ এমভি জিয়ামেন। গাছের চারা আমদানি করছে কাতারের দোহারে বাংলাদেশি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান আল নাইমি ল্যান্ড স্ক্যাপিং নামে একটি প্রতিষ্ঠান। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, মধ্যপ্রাচ্যে বাংলাদেশি গাছের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। এবছর প্রায় এক কোটি টাকার চারা গাছ রফতানি করা যাবে বলে জানান রফতানিকারকরা।

সূত্র মতে, ২০২২ সালে অনুষ্ঠিতব্য কাতারে ফুটবল বিশ্বকাপ টুর্নামেন্টকে ঘিরে পুরো দেশকে সবুজায়ন করার পদক্ষেপ নিয়েছে কাতার সরকার। এতে বাংলাদেশি নার্সারি ব্যবসায়ীরা কাতার সরকারের সবুজায়ন প্রকল্পে অংশ নিচ্ছেন। এ ছাড়া কাতারে অবস্থিত বিভিন্ন দেশের ব্যবসায়িদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা দিয়ে ব্যবসা বাণিজ্য সম্প্রসারণে এগিয়ে যাচ্ছে প্রবাসী বাংলাদেশিরা।

কাতার প্রবাসীরা বলছেন, প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ থেকে সমুদ্র পথে চারা রপ্তানির মাধ্যমে নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করলো বাংলাদেশ। ফলে দুদেশের ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্কের পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনেরও নতুন পথ উন্মোচিত হলো। কাতারের রাজধানী দোহায় নার্সারি ব্যবসায় সফল বাংলাদেশিদের মধ্যে তেমনি একজন কুমিল্লা লাকসাম উপজেলা বাকই ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. রাকিবুল হাসান। রাজধানী দো’হার নিকটে আইন খালেদ এলাকায় নার্সারি বিক্রয় কেন্দ্রসহ সেহেলিয়ার ৮০ একর জমিতে একটি নার্সারিতে পিতার হাত ধরে এই ব্যবসায় আগমন হলেও দীর্ঘ ১০ বছরে নিজেকে প্রতি’ষ্ঠিত করেছেন একজন সফল উদ্যোক্তা হিসেবে। তার এই নার্সারিতে বর্তমানে অনেক প্রবাসীর কর্ম’সংস্থান সৃষ্টি হয়েছে।

বাংলাদেশি উদ্যোক্তা রাকিবুল হাসান বলেন, গত তিন বছরের প্রচেষ্টার ফলে কাতারে এই প্রথম সমুদ্র পথে বাংলাদেশের বিভিন্ন জাতের গাছের চারা আমদানি করতে সক্ষম হয়েছি। এ ছাড়া আমরা নিয়মিত এয়ার কার্গোতে বিভিন্ন জাতের চারা গাছ নিয়ে আসতাম। এখন থেকে আরও বড় পরিসরে সমুদ্র পথে চারা গাছ আমদানি করতে পারবো। তিনি আরও বলেন, বিশ্বকাপ আসর উপলক্ষে কাতার সরকার ফুটবল স্টেডিয়ামগুলোর আসপাশ, রাস্তার দুই ধারে সবুজায়ন করতে বিভিন্ন পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। তাই গাছের চারা আমদানির মাধ্যমে কাতার সবুজায়নে ব্যাপক ভূমিকা পালন করবে বাংলাদেশ।

সমুদ্র পথে চারা গাছের প্রথম চালান কাতারে এসে পৌঁছালে পরিদর্শনে আসেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. জসিম উদ্দিন। পরিদর্শনে এসে রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ থেকে চারা গাছ আমদানির মাধ্যমে দুদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্কে নতুন মাইলফলক স্পর্শ করেছে। আগামীতে যেন ব্যাপক পরিসরে গাছ আমদানি করা যায় সেক্ষেত্রে সব ধরনের সরকারি সহযোগিতার আ’শ্বাসও দেন রাষ্টদূত।#

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.