--- বিজ্ঞাপন ---

চট্টগ্রামে সিনিয়রস জার্নালিস্ট ফোরাম গঠিত

0

ষাট ঊর্ধ্ব বয়সের চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের স্থায়ী সদস্যদের এক মতবিনিময় সভা ১১ জুন (২০২২) শনিবার বেলা ১১টায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের ২য় তলায় সুলতান আহমদ হলে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব ও ঘোষণাপত্র পাঠ করেন বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল ও ওয়ার্ল্ড এসোসিয়েশন অব প্রেস কাউন্সিলস্ নির্বাহী পরিষদের সাবেক সদস্য মইনুদ্দীন কাদেরী শওকত। সিনিয়র সাংবাদিক মাখন লাল সরকারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় প্রবীণ সাংবাদিকদের বিভিন্ন সমস্যা ও বিষয়ের উপর আলোকপাত করে সভায় বক্তব্য রাখেন দৈনিক পূর্বকোণ’র সাবেক প্রধান সহ-সম্পাদক ইসকান্দর আলী চৌধুরী, দৈনিক পূর্বকোণ’র সাবেক সহকারী সম্পাদক স্বপন দত্ত, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফারুক ইকবাল, বর্তমান সহ-সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহিম, দৈনিক আজাদীর সাবেক সিনিয়র সহ-সম্পাদক সুলতান আহমদ আশরাফ, দৈনিক পূর্বকোণ’র সাবেক সহকারী সম্পাদক আনোয়ার হোসেন পিন্টু, দৈনিক আজকের চট্টগ্রাম সম্পাদক আবদুল হাই, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নির্মল চন্দ্র দাশ, এ.কে এম কমরুল ইসলাম চৌধুরী, বাবুল চৌধুরী, প্রবীর নন্দী, মাহবুব-উর-রহমান, শতদল বড়ুয়া, ফটো সাংবাদিক সমিতির প্রবীণ নেতা ও বাঁশখালী গন্ডামারা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কুতুব উদ্দিন চৌধুরী, পংকজ কুমার দস্তিদার, সাইফুদ্দিন মো. খালেদ, দেবপ্রসাদ দাশ দেবু, তাপস বড়ুয়া রুমু, তপন দাশ বর্মন, গোলাম সরওয়ার, জামাল উদ্দিন ইউসুফ, রোকসারুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম শহীদ, আফজাল রহিম সিদ্দিকী প্রমুখ সিনিয়র সাংবাদিকবৃন্দ। সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি সালাহউদ্দিন মোহাম্মদ রেজা ও অর্থ সম্পাদক রাশেদ মাহমুদ।
ঘোষণা পত্রে বলা হয়, প্রবীণরা কারো করুণার পাত্র নন। যৌবন ও বিগত জীবনে আজকের প্রবীণরাই দেশ, সমাজ ও রাষ্ট্র তৈরী করে দিয়েছেন। গণমানুষের অধিকার ও স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, আজ বিভিন্ন স্তরে প্রবীণরা অবজ্ঞা, উপেক্ষা, বঞ্চনা, লাঞ্চনা ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন। নৈতিকতা বোধের অবক্ষয় ও ধ্বসের কারণে এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। প্রবীণ বয়সে একটু সেবা, একটু শুশ্রুষা কোন দয়ার দান নয়। বয়োজ্যেষ্ঠ, পরিপক্ক মানুষ হিসেবে রাষ্ট্র, সমাজ, পরিবার, স্বজনদের কাছে এটি অধিকার। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ : ১৫ (ঘ) অনুসারে প্রবীণ নাগরিকদের সামাজিক নিরাপত্তা বিধানে রাষ্ট্র অস্বীকারবদ্ধ।
প্রবীণ নাগরিকদের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা, পুনর্বাসন অধিকার নিশ্চিত করার কথা সরকারের পক্ষ থেকে বলা হলেও প্রবীণ সাংবাদিকরা রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা ও প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত। প্রবীণ সাংবাদিকদের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমেই প্রবীণ সাংবাদিকদেরকে অবহেলার ভুল শোধরিয়ে দিতে হবে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় বয়স্কদের নির্মম ও অসম্মানজনক আচরণ করে তাদের মানসিকভাবে নির্যাতন করা হয়। এই নির্যাতন বন্ধে দেশের সকল প্রবীণ সাংবাদিককে স্ব স্ব অবস্থান থেকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সোচ্চার ও প্রতিবাদী হতে হবে। অধিকার কেউ উপহার দেয় না। অধিকার আদায় করতে হয়, প্রতিষ্ঠা করতে হয় সম্মিলিত প্রচেষ্টায়। প্রবীণদের তৎপরতার মাধ্যমে বুঝিয়ে দিতে হবে আমরা ফুরিয়ে যাইনি। তলানির শক্তিও অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারে স্বতঃস্ফূর্ত ব্যক্তিত্ব ও সংঘবদ্ধ প্রচেষ্টায়। প্রবীণ সাংবাদিকদের বহুমাত্রিক সমস্যা সমাধানের জন্য সকল সাংবাদিককে একযোগে কাজ করতে হবে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ঃ৩৭ ও ৩৮ অনুযায়ী দেশের সকল নাগরিকের সভা সমাবেশে যোগদানের ও সমিতি-সংগঠন করার অধিকার আছে। সে অধিকার বলে আজ আমরা এই বৈঠকে যোগ দিয়েছি এবং ঐক্যবদ্ধভাবে নিজেদের প্রয়োজনে সংগঠন করার অধিকার আছে।
সভায় সর্বসম্মতিক্রমে একটি উপদেষ্টা কমিটি ও একটি আহ্বায়ক কমিটি করে ‘সিনিয়রস জার্নালিস্ট ফোরাম, চট্টগ্রাম’ গঠন করা হয়। উপদেষ্টা কমিটিতে রয়েছেন ইসকান্দর আলী চৌধুরী, স্বপন দত্ত, মাখন লাল সরকার, পংকজ কুমার দস্তিদার। আহ্বায়ক কমিটির কর্মকর্তারা হলেন আহ্বায়ক- মইনুদ্দীন কাদেরী শওকত, যুগ্ম আহ্বায়ক- ফারুক ইকবাল, সদস্য সচিব- সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহিম, যুগ্ম সদস্য সচিব- নির্মল চন্দ্র দাশ, অর্থ সচিব- তাপস বড়ুয়া রুমু। এছাড়াও আহ্বায়ক কমিটিতে ১০জন সদস্য রয়েছেন।#

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.